ত্রিপুরায় অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়
  • আগরতলা ঃ গত ২৫ ডিসেম্বর সিপাইজলা  জেলার  কাঁঠালিয়া গ্রামে  প্রয়াত  মন্টু সাহার পুত্র সঞ্জিত সাহার পরিচালনায় ৩ ঘন্টাব্যাপী ‘ৰাৰা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের  অখন্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনার পর আচার্য সুনন্দানন্দ অবধূত বক্তব্য রাখেন৷ তিনি তাঁর ভাষণে বলেন কীর্ত্তন ও সাধনার মাধম্যে মানুষ পশুত্বের বন্ধন থেকে উত্তীর্ণ হয়ে মনুষ্যত্ব লাভ করে ও তারপর দেবত্বে উন্নীত হয়৷
  • খোয়াই ঃ ২২ শে ডিসেম্বর খোয়াইতে দানেশ পালের বাড়ীতে ৬ ঘন্টা ব্যাপী কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনান্তে কীর্ত্তন ও ভক্তিমাহাত্ম্যের  ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য সুনন্দানন্দ অবধূত৷
  • বিশালগড় ঃ গত ১৭ই ডিসেম্বর বিশালগড়ের নস্করপাড়ায় রূপস দেববর্র্মর বাসভবনে ৩ঘন্টা ব্যাপী ‘ৰাৰা নাম কেবলম্’ অখন্ডকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনানুষ্ঠানের  পর সাধনা ও কীর্ত্তনের  ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য গুরুদত্তা নন্দ অবধূত, আচার্য সুনন্দানন্দ অবধূত ও আচার্য বিবেকরঞ্জনানন্দ অভধূত৷ ধর্মআলোচনার  পর ২জন সাধনা শেখেন৷
  •  মাছমারা (ত্রিপুরা) ঃ ২০ তারিখে মাছমারার সুনীল সাহাজীর বাসভবনে তিনঘন্টাব্যাপী ‘ৰাৰা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখন্ডকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ বক্তব্য রাখেন আচার্য সুনন্দানন্দ অবধূত ও আচার্য কর্মেশানন্দ অবধূত৷ আচার্য সুনন্দানন্দজী বলেন---মানব জীবনে যোগ সাধনা অপরিহার্য৷ যোগ মানে ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগ সাধন৷ মনের সমস্ত বৃত্তিকে একমুখী করে ঈশ্বরের দিকে চালাতে হয়৷ এই সাধনায় কীর্ত্তন বিশেষ সহায়ক৷ কীর্ত্তনের সময় মুখ, হাত, পা, কান, জিহ্বা তথা সমস্ত শরীর কীর্ত্তনের তরঙ্গে তরঙ্গায়িত হয়৷ এর ফলে আমাদের সমস্ত সত্তা শুদ্ধ পবিত্র হয়ে ওঠে৷ এর ফলে মন খুব সহজেই একাগ্র হয়ে ঈশ্বরের ধ্যানে নিমগ্ণ হতে পারে৷