আনন্দনগরে মহাসমারোহে ধর্মমহাসম্মেলন সুসম্পন্ন হ’ল

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দনগর, পুরুলিয়া ঃ আন্তর্জাতিক নববর্ষ উপলক্ষ্যে গত ২৯, ৩০ ও ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৮ ও ১লা জানুয়ারী ২০১৯ এই চারদিন ধরে আনন্দনগরে মহাসমারোহে ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হ’ল৷ পাহাড়–নদী ঘেরা সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে উৎসাহী হাজার হাজার আনন্দমাগীর যোগদানের মধ্য দিয়ে আনন্দমার্গের কর্মকেন্দ্র আনন্দনগরে তিনদিনের বিশাল ধর্মমহাসম্মেলন সুসম্পন্ন হ’ল৷ এবারের শীতকালীন ধর্মমহাসম্মেলন শুরু হয় ২৯ ডিসেম্বর৷ ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর ডি.এম.এস. প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান হয় আর ১লা জানুয়ারী ২০১৯–এর অনুষ্ঠান হয় আনন্দনগরের বাবা স্মারক ভবনে৷ সংঘের অধিকাংশ কর্মী ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার আনন্দমার্গী সদস্যরা এই ধর্মমহাসম্মেলনে যোগ দিয়ে ধর্মমহাসম্মেলনটি সাফল্যমণ্ডিত করে তোলেন৷ এছাড়া বহির্দেশের ভক্তমার্গীরাও সম্মেলনে যোগ দেন৷ দেশের ও বহির্দেশের মার্গীদের যোগদানে মহাসম্মেলন আনন্দমুখর হয়ে ওঠে৷ তাঁদের সম্মিলিত কীর্ত্তন–ভজনে আনন্দনগরে এক স্বর্গীয় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল৷ মনোরম আধ্যাত্মিক পরিবেশে অনুষ্ঠানের প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় আনন্দমার্গের পুরোধা প্রমুখ আচার্য কিংশুকরঞ্জন সরকার মার্গগুরুর প্রতিনিধি হিসেবে আধ্যাত্মিক প্রবচন দেন৷ তাঁর জ্ঞানগর্ভ ও ভক্তিভাবাপ্লুত প্রবচন ভক্ত মার্গীদের উৎসাহ ও প্রেরণার সঞ্চার করে৷ ধর্মমহাসম্মেলনের এই কয়েকদিন ধরে তিনি ভজন (প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন ও সাধনা প্রতিটি মানুষের জীবনে কেন অত্যাবশ্যক তা বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে বলেন৷ তিনি এও বলেন বেশী করে ধ্যান করলে  মিত্র অণুজীবৎ (পজেটিব মাইক্রোবাইটাম) তৈরী হয়৷ তা সাধককে শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক–সর্বাত্মক বিকাশে বিশেষ সহায়তা করে৷ কীর্ত্তন ভজনের দ্বারা সাত্ত্বিক পরিবেশ তৈরী করে রাখলে শত্রু অণুজীবৎ (নেবেটিব মাইক্রোবাইটাম) আর ওখানে থাকবে না৷ তাই মানুষের আধ্যাত্মিকতার আশ্রয় অতি অবশ্যই নেওয়া উচিত৷ তিনি আরো বলেন এমনকি শরীরকে সুস্থ রাখার জন্যেও আধ্যাত্মিক সাধনার বিশেষ প্রয়োজন৷ তিনি বৈজ্ঞানিকদের গবেষণার উল্লেখ করে বলেন টাঙ্কা নামে এক ধরণের জীবাণু থেকে ‘জণ্ডিস’ রোগ হয়৷ সেক্ষেত্রেও বেশী করে ধ্যান জণ্ডিস রোগের নিরাময়েও বিশেষ কার্যকরী৷ এইভাবে ধ্যান শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার পক্ষেও বিশেষ উপযোগী৷ ....

প্রতিদিন সন্ধ্যায় আনন্দনগর রাওয়া গোষ্ঠীর পরিচালনায় প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটক  সকলকে মুগ্ধ করে৷ শীতকালীন এই সম্মেলনের এই দিনগুলিতে উজ্জ্বল সূর্যালোকে মুক্ত আকাশের নীচে আনন্দনগরে নিঃসন্দেহে এক অপূর্ব সুন্দর মনোরম আধ্যাত্মিক পরিবেশ গড়ে উঠেছিল৷