July 2019

কী আলো জ্বেলেছ

রামদাস বিশ্বাস

কী আলো জ্বেলেছ আমার চোখে৷

কী সুধা ভরেছ মম হৃদি-কোরকে৷৷

সে আলো চলে ধেয়ে সে সুধা ধারা বেয়ে

অন্তবিহীন পথে তব সুরলোকে৷৷

সুধা পান ক’রে মন উচ্ছ্বল অনুক্ষণ

ভাবলোকে নাচে সদা মহাপুলকে৷৷

তুমি আমায় রাখলে সুখে

রাসবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায়

তুমি আমায় রাখলে সুখে ভয় করি যে আমি,

ইচ্ছে মত দুঃখ দিও ওগো জীবন স্বামী৷

অহঙ্কারে অন্ধ হয়ে সুখ চেয়ে দিন গেল বয়ে

পথের মাঝে পথ হারিয়ে চলা যে যায় থামি৷

তুমি যখন আঘাত কর আমায় ভালোবেসে

আড়াল টুটে তখন তুমি সামনে দাঁড়াও এসে৷

হারিয়ে যাওয়া পথের রেখা

ক্ষার অম্বল

শিবরাম চক্রবর্ত্তী

ঝাল-নোনতা, টক-মিষ্টি

দেখে লোভের হয় সৃষ্টি

তেল-মশলা রঙের বাহার

অধিক হলে নষ্ট আহার৷

শাক-সব্জি চালে-ডালে

স্বাস্থ্য চলে ছন্দে তালে

রক্তের জোরে সবাই বাঁচে

ক্ষার অম্বলে রক্ত নাচে৷

রক্তে অম্ল বৃদ্ধি পেলে

রোগ শরীরে বেড়ে চলে,

রক্তের ক্ষার বৃদ্ধি পায়

জীবনী শক্তি বেড়ে যায়৷

দুধ-দই ও সব্জি-ফলে

ক্ষার রক্তের স্ফূর্তি চলে,

হও যদি আমিষাশী

অম্ল বলে রক্তে আসি,

সুস্থ শরীর জীবন গড়ো

সাত্ত্বিক খাদ্য গ্রহণ করো৷

দানও নিলেন, দক্ষিণাও নিলেন

একটি প্রাচীন বাংলা গানে ‘কোদণ্ড’ শব্দটি কোদাল অর্থে ব্যবহৃত হয়েছিল৷ গানটি রচনা করেছিলেন সুবিখ্যাত পাঁচালী গায়ক দাশরথি রায়–সংক্ষেপে দাশু রায়৷ বাংলার এই জন্মসিদ্ধ প্রতিভা দাশু রায় কবিতায় কথা বলতে পারতেন......পারতেন গানেও কথা বলতে৷ সংস্কৃত শাস্ত্রেও ছিল তাঁর প্রচণ্ড দখল......আর প্রচণ্ড দখল ছিল যেমন বাংলায় তেমনি সংস্কৃতেও৷ তার সঙ্গে তিনি ছিলেন মজলিশী মেজাজের মানুষ৷ লোককে হাসাতে পারতেন দারুণ৷

মামার বাড়ির ময়না

চিরস্মিতা ভৌমিক

আমার মামার বাড়িতে একটা ময়না পাখি এনেছিল, তখন আমার বয়স পাঁচ বছর৷ যখন আমার সাগরদাদা পাখিটাকে বাড়িতে আনে তখন ময়না পাখিটা খুব ছোট ছিল৷ সে কিছু বলত না চুপ করে থাকত৷ দাদাভাই পাখিটার নাম দিল মিঠু৷ একমাস পরে আমার দাদাকে সাগর বলে আর আমাকে সোনাই বলে ডাকল৷ কয়েক মাস পরে যখন আমি মামার বাড়িতে যাই তখন মিঠুকে বারান্দায় একটা খাঁচায় দেখতে পাই৷ দেখা মাত্রই বলে উঠল, মনাগো দেখ সোনাই এসেছে৷ আমার দিদুকে মিঠু মনা বলে ডাকত৷ মিঠু লঙ্কা দিয়ে ভাত খেতে পছন্দ করত৷ কিন্তু যেদিন রাগ করত সেদিন দিদুকে জোর করে তাকে ভাত বা কলা খাইয়ে দিতে হত কিন্তু ভুজিয়া পেলে সব রাগ গলে যেত৷ ভুজিয়া মিঠুর সব থেকে প্রিয় ছিল৷ তবু একদিন খাঁচার দর

বিশ্বকাপের উত্তেজনা এখন তুঙ্গেl চলছে শেষ চারে যাওয়ার জোর লড়াই চ্যাম্পিয়নের লক্ষ্যে অঙ্ক কষে এগোচ্ছে ভারত

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯-এর রাউণ্ড রবিন লীগের খেলাগুলি চলছে৷ ইংল্যাণ্ডের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে৷ মোটামুটিভাবে খাতায-কলমে ভাল দলগুলি ঠিকমত শুরু করেছে৷  কিন্তু তার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা আশানুরুপ খেলতে পারেনি৷ ওয়েষ্ট ইণ্ডিজও বেশ কয়েকটি ম্যাচে নিজেদের ভুলে বিপক্ষের  কাছে হার স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে৷ তবে অষ্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যাণ্ড ও ইংল্যাণ্ড নিজেদের সুনাম অনুযায়ী পারফরম্যান্স করেছে৷ দিন যত গড়াচ্ছিল ততই স্পষ্ট হচ্ছিল অষ্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যাণ্ড ও ইংল্যাণ্ডই সেমিফাইনালে যাবে৷ প্রত্যেক দলের যখন পাঁচটি বা ছয়টি করে ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে তখন এই চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে৷ ঠিক এমন সময় ছন্দপতন ঘটে গেল৷ শক্ত

ভারতে ভয়াবহ জলসঙ্কট

দিল্লী, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ সহ ২১টি শহরে আগামী বছর ভূগর্ভস্থ জল প্রায় শেষ হতে চলেছে৷ এই রিপোর্ট ভারত সরকারের ‘নীতি আয়োগের’৷ এর ফলে তীব্র জল সঙ্কটে পড়বেন প্রায় দশ কোটি ভারতীয়৷

l     প্রতি বছর পানীয় জলের অভাবে দু’লক্ষ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে৷

l     ২০৩০ স‘ালের মধ্যে বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংকটে পড়বেন ৪০ শতাংশের বেশী ভারতীয়৷

l     পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যে কেন্দ্রীয় সরকার নবঘটিত জলশক্তিমন্ত্রককে ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে৷ নদী নালা থেকে পরিস্রুত জল পাইপে করে সরবরাহ করা এর উদ্দেশ্য৷ কিন্তু বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এই প্রকল্পও থমকে রয়েছে৷

কল চাপলেই আগুন

২রা জুলাই পুরুলিয়া জেলার নিতুরিয়া এলাকার হিজুলী গ্রামের লালমোহন চ্যাটার্জীর বাড়ীর নলকূপে একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে৷ ওদের নলকূপটিতে জল বের করানোর জন্যে হাতল ধরে চাপ দিলেই জলের বদলে দাউ দাউ করে আগুন বেরুচ্ছে৷ বালতি বালতি জল ঢেলে আবার ওই আগুন নেভাতে হচ্ছে৷ অনুমিত হচ্ছে কয়লা খনিতে যে মারাত্মক মিথেন গ্যাস বেরোয় সেই গ্যাস বের হচ্ছে৷ এই গ্যাস ফুসফুসে গেলে জীবনহানি পর্যন্ত হয়৷ এই গ্যাসের প্রভাবে শরীর ক্রমশ শুকিয়ে যায়৷

গ্রামবাসীরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছে, সরকার যেন অবিলম্বে এর উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন৷

১লা জুলাই বিধানরায়ের আবির্ভাব ও তিরোধান দিবসে বিধাননগরের জমি বাড়ী বাঙালীদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে  আমরা বাঙালীর মিছিল ও পথসভা

ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় তাঁর স্বপ্ণের শহর সল্টলেক তথা বিধাননগরের পত্তন করেছিলেন সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালীদের জন্যে৷ কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে অবাঙালী পুঁজিপতিরা দখল করে’ এখানে বাঙালীদের সংখ্যালঘু করে’ দেওয়ার  চক্রান্ত করে’ চলছে৷ ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন ও তিরোধান দিবস ১লা জুলাই ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে  বিধাননগরের করুণাময়ী বাসস্ট্যাণ্ড থেকে ময়ুখ ভবন পর্যন্ত এক বিরাট প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয় ও সেখান থেকে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্ত্তিতে মাল্যদান করেন ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সচিব মাননীয় শ্রীবকুল চন্দ্র রায় ও বাঙালী মহিলা সমাজের পক্ষ থেকে সাগরিকা পাল ও একে একে অনিতা চন্দ,

অবিলম্বে জলের অপচয় বন্ধ করুন

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আজ থেকে বহু বছর আগে প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তিনটে জিনিস অপচয় করতে বারণ করেছিলেন৷ কোন জিনিষের অপচয় তিনি পছন্দ করতেন না৷ কিন্তু বিশেষ করে তিনটি জিনিসের কথা তিনি বলেছেন, জল, জ্বালানি, বিদ্যুৎ৷ তিনি এও বলেছেন--- এমন একটা দিন আসবে যেদিন মানুষ জল খেয়ে মরবে,  না খেয়েও মরবে৷ জল এমন একটা জিনিস যার অভাবে শুধু মানুষ নয়, পশুপক্ষী, তরুলতা কারো পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়৷ মানুষের সীমাহীন লোভ, প্রাকৃতিক সম্পদের অবাধ লুন্ঠন, ভূগর্ভস্থ জলের যথেচ্ছ ব্যবহার মানুষের সামনে এই বিপদ ডেকে এনেছে৷ এখন হয়তো সময় আছে, মানুষ যদি সচেতন হয় রাষ্ট্রের পরিচালক বিজ্ঞানী, সমাজবিদ, বিজ্ঞানী সকলের মিলি

ইতালিতে আনন্দমার্গ

ইতালির বেরোণা(Verona)তে গত ২৯শে জুন ‘প্ল্যানেট ইণ্ডিয়া’ নামে একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষ থেকে একটি মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷

ওই অনুষ্ঠানে আনন্দমার্গের প্রচারক সংঘের প্রচারক আচার্য প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত ‘সাত্ত্বিক জীবনচর্যা ও আধ্যাত্মিকতা’র ওপর এক মনোজ্ঞ বক্তব্য রাখেন৷ তিনি বলেন আধ্যাত্মিক অনুশীলন মানুষকে উচ্চমূল্যবোধে প্রতিষ্ঠিত করে ও মানুষের জীবনে এনে দেয় যথার্থ শান্তি৷

এখানে রাওয়া(RAWA) শিল্পী রত্না সরকার প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন ও প্রভাত সঙ্গীতের ভাব, সুর ও রাগের ওপর বক্তব্য রাখেন৷