দেশে এ কেমন সরকার আর কেমন গণতন্ত্র!

লেখক
নিরপেক্ষ

যতো দিন যাচ্ছে ততই দেখা যাচ্ছে ভারতের মতো বহুভাষাভাষীর দেশে যে ধর্মমত নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের দুরবস্থা বাড়ছে  সেটা মূলতঃ শাসকদলের চরম ব্যর্থতার কারণে৷ অত্যন্ত লজ্জার ও বেদনার কথা যারাই দেশ শাসনে আসছে তারাই সংবিধানকে মান্যতা না দিয়ে নিজেদের মতো করে দলীয় শাসন চালাতে সেই সংবিধানের উপর আঘাত করে সংবিধানকে সংখ্যাধিক্যের অধিকার বলে পরিবর্তন করে বিরোধী দলের ন্যায় সঙ্গত বক্তব্যকে সংখ্যার জোরে পায়ে দলেই এগুচ্ছে সেই প্রথম থেকেই৷ তাতে এদেশের গণতন্ত্র এক ভয়ঙ্কর প্রহসনে এসে দাঁড়িয়েছে৷

রাজনৈতিক দলগুলো নির্লজ্জের মতো বোটের স্বার্থে সেই পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দিয়েও চলেছে৷ প্রতিক্ষেত্রে এদেশে মানবিকমূল্য বোধটাই ধূলায় মিশে গেছে৷ স্বাধীনদেশের প্রত্যেক মানুষ তো সেই অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান পাবে৷ অদ্যাবধি সেই ১৩৩ কোটির মতো মানুষ এদেশে বেঁচে থাকার জন্য কি সেই নূ্যনতম অধিকার পেয়েছে? পায়নি৷

বর্তমানে করোনায় দেশ আক্রান্ত৷ অদ্যাবধি মানুষজন তো রোগের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচার জন্য কোন প্রতিষেধক পায়নি৷ অনেকেই তো দু’বেলা খেতে পায় না আর মাথা গোঁজার ঘরও নেই৷ চরম বেকার সমস্যায় ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের দুর্দশার শেষ নেই৷ কলকারখানাও সব বন্ধ হয়ে গেছে রুজিরোজগার বলতে অধিকাংশের নেই৷ দেশে কোন সরকারকে অস্তিত্ব আছে বলে মনেই হয় না৷ সারা দেশটাই যেন শ্মশানে পরিণত হয়েছে৷ কেউই আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেই পাচ্ছে না৷ প্রায় সব ডাক্তারখানা যেন ভয়ে বন্ধ৷ প্রত্যেকদিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে চলেছে৷ এদিকে স্থানীয় দোকানও বাজারে জিনিসপত্র বিক্রিটা অনেক কমে গেছে কারণ সংখ্যাগরিষ্টের হাতে পয়সা নেই৷ এর উপর ‘লকডাউন’ এর চাপ৷ সুকল কলেজ পাঠশালা দীর্ঘ কয়েক মাস বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রাগণ সবই যেন ভুলে গেল! তারাও ঘরবন্দী৷ এ এক অসহনীয় অবস্থা!

সত্য কথা বলতে গেলে বলতেই হয় এমন কঠিন অবস্থা এর আগে কখনোই হয়নি৷ দেশে যেন অভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থা চলছে! রোগের সঙ্গে প্রত্যেক মানুষকে লড়াই করতে হচ্ছে৷ তাই তাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানোটা অত্যাবশ্যক৷ কিন্তু তার তো কোন ব্যবস্থা নেই৷ সুসম খাদ্য কতোজন পাচ্ছে! ব্যাঙ্ক পরিসেবা মোটেই ভাল নয়৷ সুদ এর হার দিনের পর দিন কমছে৷ এটা তো কেন্দ্র সরকারের চরম আর্থিক ব্যর্থতা৷ তাই নিম্নমধ্যবিত্ত এর লোকজন একেবারে পথে বসেছে৷ লোকাল ট্রেন পরিসেবাটা খুবই প্রয়োজন৷ সেদিকে সরকার নজর দিক৷ লোকাল ট্রেনের ভীড় কমাতে গ্যালপিং ব্যবস্থাটা চালু করা হোক৷ তাই কাঁচা আনাচপত্রগুলি বাজারে আসবে দাম কিছুটা কমবে৷ ওষুধের দাম কিছু কমানো দরকার যেগুলি সর্দি কাশি জ্বরে সাহায্য করে৷ দামের কোন নিয়ন্ত্রন নেই৷ সরকারী নির্দেশ কেউই মানছে না৷  আলুর দাম ও অন্যান্য জিনিসের দাম অত্যধিক তার কারণ  আমদানী ঠিক মতো হচ্ছে না কারণ যোগাযোগটাই বন্ধ৷ এগুলো কেন্দ্র ও রাজ্যসরকার আন্তরিকতার সঙ্গে নজর দিক৷ কেবল বোট বোট করে মাতামাতি করাটাকে তো গণতন্ত্র বলে না৷ তাই আজ গণতন্ত্রটাই মানুষের কাছে যেন এক প্রহসন৷ রাজনৈতিক দল এটাকে প্রাধান্য দেয় বেশী৷ শাসকদলগুলো বেশি কথা বলে, কাজের কাজ নগণ্য!