প্রবন্ধ

সুগভীর ষড়যন্ত্রের শিকার বাঙাল

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

দীর্ঘ ৭৩ বছরের স্বদেশী শাসনে বাঙলার সমাজ জীবনের সর্বস্তরে  তার ধর্ম সাধনায়, তার কর্ম সাধনায়, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি সর্বস্তরে আজ বহিরাগত অশ্লীল অসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ সমাজ জীবনে ও ব্যষ্টি জীবনে নিম্নমানের পরিবর্তন এনেছে৷ তার রুচিতে, তার চাল-চলনে, আচার-আচরণে তারই প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে৷ আসলে স্বাধীনতার পরেই বাঙালীর জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্র্ভগ্য৷ এই দুর্র্ভগ্য তার স্বরচিত নয়, দেশভাগ, লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তুর,তার অর্থনৈতিক বিপর্যয় , সামাজিক অস্থিরতা এর কোনটির জন্যেই বাঙালী দায়ী নয়৷ বাঙলাকে এইপথে আসতে বাধ্য করেছে বিদেশী-স্বদেশী বেনিয়াগোষ্ঠী ও তাদের অর্থে পালিত রাজনৈতিক দল ও নেতারা৷ যাদের লক্ষ্য বাঙাল

মানবতার মুক্তিকল্পে বাঙালী জনগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হোক

প্রভাত খঁ

যখনই নির্বাচন আসে তখনই সব রাজনৈতিক দলগুলো নেতাজী সুভাষচন্দ্রকে হাতিয়ার করে বোটে জয়ী হতে চেষ্টা করে৷ অথচ কংগ্রেস কম্যুনিষ্ট আর এস এস মার্র্ক বিজেপি কেউ সেদিন সুভাষচন্দ্রের পাশে থাকেনি৷ বরং সুভাষচন্দ্রকে জব্দ করতে ব্রিটিশের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে---কেউ প্রকাশ্যে কেউ গোপনে৷ আজ তারা নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে চায় সুভাষচন্দ্রকে অবলম্বন করে৷ কিন্তু তাঁর মতাদর্শ ও তাঁর চিন্তাভাবনাকে তিলমাত্র বাস্তবায়নে কি সচেষ্ট হয়েছেন? না হয়নি৷ এটাই হলো দলীয় রাজনৈতিক দ্বিচারিতা৷

ভারতে কর্ষক  আন্দোলন  ও সমাজ-চেতনা

হরিগোপাল দেবনাথ

দিল্লী শহরটি ভারতের রাজধানী শহর৷ দিল্লীতেই অবস্থিত ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সাংসদ ভবন--- রাজ্যসভা ও লোকসভা৷ সেখানেই অবস্থিত কেন্দ্রীয় কেবিনেট--- মন্ত্রীসভা ও রাষ্ট্রপতি ভবন৷ অর্থাৎ সমগ্র ভারতকে পরিচালনার জন্যে যে মস্তিষ্ক শক্তির সেটি দিল্লীতে রয়েছে৷  দিল্লীতেই ভারতের শীর্ষ আদালত আর বিচারালয় তাই, দিল্লীতে অবস্থিত শীর্ষ আদালত তথা সুপ্রিম কোর্টকে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশ্রেষ্ট চিকিৎসালয়ও বলা যেতে পারে, কেননা রাষ্ট্রদেহে যদি কোথাও রোগ-ব্যাধি দেখা দেয়, অসুস্থতা কিংবা অচলাবস্থা যেকোনো কারণেই উপস্থিত হোক না কেন, শেষ কথাটি শোণার জন্যে সকলেই শীর্ষ আদালতের রায়ের প্রতীক্ষায় অনড় থাকবেন৷ এমনকি ভারত রাষ্ট্রদ

বাঙালীস্তানই বাঙালীর অস্তিত্ব রক্ষা করবে

এইচ.এন. মাহাতো

স্বাধীন ভারতে বাঙালীর অস্তিত্ব আজ বিপন্ন৷ বিশেষ করে ভারতে বাংলা ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি এমকি বাঙালী জাতিটাকেই বিলুপ্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে স্বাধীনতার জন্ম লগ্ণ থেকেই৷ বাঙালীর এই সংকট থেকে বেরবার পথ কী?

একুশের বার্র্ত্ত আমাদের শপথে আবদ্ধ করে

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

আন্তর্জাতিক ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ এক স্মরণীয় ও বরনীয় দিন৷ একুশে ফেব্রুয়ারী আমাদের ভাষাগত মূল্যবোধের এক জাগ্রত প্রহরী৷ একুশ আমাদের চেতনার রঙে রাঙানো একটি দিন, একুশ জাগরণের একটি দিন৷ একুশের কোন সীমাবদ্ধতা নেই৷ একুশ অমর ও অক্ষয়৷

ইতিহাসের সরণী বেয়ে ও প্রকৃতির চিরায়ত আবর্ত্তনের পথ ধরে একুশ যখন আমাদের চিত্ত আর চেতনার আকাশে আত্মপ্রকাশ করে তখন আমরা প্রাণিত ও রোমাঞ্চিত হই৷

স্মৃতির অন্তরালে--- ‘‘বাড়ী আমার ভাঙন-ধরা অজয় নদীর বাঁকে’’

কণিকা দেবনাথ

‘‘কুমুদরঞ্জনের কবিতা পড়লে বাঙলার  গ্রামের তুলসী মঞ্চ, সন্ধ্যা প্রদীপ, মঙ্গল শঙ্খের কথা মনে পড়ে৷’’ পল্লী কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক সম্পর্কে কথাগুলি বলেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

গ্রাম্যজীবনের সহজ সরল নৈসর্গিক প্রকৃতির ছবি পল্লী কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকে কবিতার বিষয় ছিল৷ ১৮৮৬ সালের ১লা মার্চ অবিভক্ত বাঙলার বর্ধমানের কোগ্রামে মামার বাড়ীতে জন্ম কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের৷ কবির পৈতৃক বাড়ী ছিল বর্ধমান জেলারই বৈষ্ণবতীর্থ খ্যাত শ্রীখণ্ড গ্রামে৷ তাই হয়তো তাঁর কবিতার মধ্যে পল্লী বাঙলার প্রাকৃতিক বৈচিত্রের সাথে বৈষ্ণব ভাবধারা যুক্ত হয়ে কবিতার ভাব ও ভাষাকে  আলাদা মাধুর্য দিয়েছে৷

স্মৃতির অন্তরালে--- ‘‘বাড়ী আমার ভাঙন-ধরা অজয় নদীর বাঁকে’’

কণিকা দেবনাথ

‘‘কুমুদরঞ্জনের কবিতা পড়লে বাঙলার  গ্রামের তুলসী মঞ্চ, সন্ধ্যা প্রদীপ, মঙ্গল শঙ্খের কথা মনে পড়ে৷’’ পল্লী কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক সম্পর্কে কথাগুলি বলেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

গ্রাম্যজীবনের সহজ সরল নৈসর্গিক প্রকৃতির ছবি পল্লী কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকে কবিতার বিষয় ছিল৷ ১৮৮৬ সালের ১লা মার্চ অবিভক্ত বাঙলার বর্ধমানের কোগ্রামে মামার বাড়ীতে জন্ম কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের৷ কবির পৈতৃক বাড়ী ছিল বর্ধমান জেলারই বৈষ্ণবতীর্থ খ্যাত শ্রীখণ্ড গ্রামে৷ তাই হয়তো তাঁর কবিতার মধ্যে পল্লী বাঙলার প্রাকৃতিক বৈচিত্রের সাথে বৈষ্ণব ভাবধারা যুক্ত হয়ে কবিতার ভাব ও ভাষাকে  আলাদা মাধুর্য দিয়েছে৷

মাতৃভাষা দিবস

জয়তী দেবনাথ

২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস৷ যে ঐতিহাসিক ঘটনার প্রেক্ষিতে  এই দিনটিকে রাষ্ট্রসংঘ মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করেছে, ইতিহাসে  এই ধরনের ঘটনা খুবই বিরল৷

নারী

শর্মিলা রীত

সমাজের চোখে আমরা -

শুধুই কি দলিত এক নারী!

দুচোখ ভরা স্বপ্ণকে তাই ভাঙতে কি পারি?

সমাজ বলে ও যে নারী....

ও তো ঘরকোন্নায় পটু,

বাইরে যাওয়া, চাকরি করা  লাগে বড্ড দৃষ্টি কটু৷

নারী মানেই বয়স যখন মাত্র উনিশ -কুড়ি...

প্রতিবেশীর উঁকিঝুঁকি আর কটুক্তি-

ও কি! ও যে নারী...

বিয়ে হবে কবে?

হচ্ছে তো বুড়ি৷

আমি বলি তুমি নারী তুমি আদিকালের সৃষ্টি,

তুমি পারো কুসংস্কার, ভাঙতে কুদৃষ্টি৷৷

এগিয়ে চল হাজার আলো নিয়ে অঙ্গীকার ...

ভ্রান্ত ধারণা মুছে দিয়ে দূর কর অন্ধকার৷

নারী জননী-জগধারিনী....

বাঙালী কি মানুষ হইতে পারিবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

এন আর সি-র কালো ধোঁয়া, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের অন্ধগলি, রাষ্ট্রহীনতার আশঙ্কা, রাজনৈতিক তঞ্চকতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক সাম্প্রদয়িক বিভেদ, সাংসৃকতিক অবক্ষয়, শিক্ষার পবিত্র অঙ্গণে উচ্ছৃঙ্খলতা, সাহিত্যের নামে অশ্লীলতা, ধর্মের নামে বেলেল্লাপনা, সোনার বাঙলার স্বপ্ণ দেখিয়ে হিন্দী সাম্রাজ্যবাদীর অনুপ্রবেশ, আদর্শহীন ভোট সর্বস্ব রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় পররাজ্যবাসীদের তোষণ--- বাঙালীর জীবনে সূর্যোদয়ের সকালটাও কালো অন্ধকারে ঢেকে দেয়৷