নেতাজীর মৃত্যু দিবসের শ্রদ্ধা দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ---পিছু হটল সরকার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মৃত্যুর ৭৩ বছর পরেও নেতাজী আতঙ্ক  তাড়া করে বেড়াচ্ছে দেশের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে৷ ১৮ই আগষ্ট নেতাজীর মৃত্যু দিবস পালন করে শ্রদ্ধা জানায় কেন্দ্রীয় সরকার৷ প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো মারফৎ দেশবাসীকে তা জানিয়েও দেন৷ বিজেপির গুজরাট শাখাও সোস্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে বলে---মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের সুপ্রিম কমাণ্ডার নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁকে কোটি কোটি প্রণাম৷ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নেতা-নেত্রীরা নেতাজীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে তাকে শ্রদ্ধা জানান৷ এরপরেই দেশ জুড়ে শুরু হয় বিতর্ক৷ বহু সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ও বিশিষ্ট জনেরা প্রতিবাদে মুখর হন৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কারো নাম না নিয়ে ট্যুইটে মন্তব্য করেন---‘আজকের দিনেই ১৯৪৫ সালে নেতাজী তাইহোকু বিমান বন্দর থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন৷ আমরা আজও জানি না এরপর কী হয়েছে৷ দেশমাতৃকার এই বীর সন্তানের বিষয়ে জানার অধিকার সকল দেশবাসীর আছে৷’

মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই কথা বলেন রাজ্য বিজেপির নেতা বসু পরিবারের সদস্য চন্দ্রকুমার বসু৷ ট্যুইটে চন্দ্রবাবু জানান---সরকারী ভাষ্য হ’ল বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর  (নেতাজী) মৃত্যু হয়৷ কিন্তু এই ভাষ্যে বহুরকম অসঙ্গতি পাওয়া গেছে৷ সরকারেরই দায়িত্ব প্রমাণ পেশ করে সত্য উদ্ঘাটন করা ও অসত্যের প্রচার বন্ধ করা৷ চন্দ্রবাবু আরও প্রশ্ণ তোলেন---জাপানের কাছে নেতাজী সংক্রান্ত তিনটি ফাইল আছে, যা চেয়ে জাপানকে চিঠি লিখেছিলেন সুষমা স্বরাজ৷ কেন্দ্র কী সেই ফাইল হাতে পেয়েছেন? যদি নতুন কোনও তথ্য না পেয়ে থাকে তাহলে বিতর্কিত একটি বিষয়কে সামনে আনার অর্থ কী?  নেহেরু পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতাজীর ভাইপো শিশির বসুর পুত্র সুগত বসু বলেন, নেতাজীর মৃত্যু ঐতিহাসিক সত্য৷

ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকে দাবী করা হয় পিআইবি-কে এই মিথ্যা প্রচারের জন্যে ক্ষমা চাইতে হবে৷ আমরা বাঙালী সংঘটনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীজয়ন্ত দাশও বলেন---মুখার্জী কমিশনের রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ আছে ওইদিন তাইহোকু বিমান বন্দরে কোনও দুর্ঘটনা হয়নি৷ তাইওয়ান সরকারও সেটা স্বীকার করেছে৷ তাহলে নেতাজীর মৃত্যু দিবস পালনের অর্থ কী? মোদীজি তো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের হেফাজতে থাকা সমস্ত গোপন নথি প্রকাশ করবে৷ তা না করে এই ধরণের ন্যক্কারজনক প্রচার কেন্দ্রীয় সরকার কেন করছে?

দেশজুড়ে বিতর্ক ও বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে পিআইবি ও বিজেপির গুজরাট শাখা তাদের পোস্ট দুটি প্রত্যাহার করে নেয়৷ অবশ্য ব্যষ্টিগত পোষ্টগুলি রয়েই গেছে৷সদস্য শ্রীজয়ন্ত দাশও বলেন---মুখার্জী কমিশনের রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ আছে ওইদিন তাইহোকু বিমান বন্দরে কোনও দুর্ঘটনা হয়নি৷ তাইওয়ান সরকারও সেটা স্বীকার করেছে৷ তাহলে নেতাজীর মৃত্যু দিবস পালনের অর্থ কী? মোদীজি তো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের হেফাজতে থাকা সমস্ত গোপন নথি প্রকাশ করবে৷ তা না করে এই ধরণের ন্যক্কারজনক প্রচার কেন্দ্রীয় সরকার কেন করছে৷

দেহজুড়ে বিতর্ক ও বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে পিআইবি ও বিজেপির গুজরাট শাখা তাদের পোস্ট দুটি প্রত্যাহার করে নেয়৷