রাজ্যে অসমিয়া বাঙালী বিভাজনে মদত দেওয়া হচ্ছে

লেখক
সাধন পুরকায়স্থ

সম্প্রতি রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে হোজাইয়ের রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্জিত বিতর্ক তৈরি করে রাজ্যে অসমিয়া বাঙালি বিভাজনে মদত দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ‘আমরা বাঙালী’ অসম, রাজ্যসচিব সাধনপুরকায়স্থ

বিশ্বকবির নামাঙ্কিত হোজাইয়ের রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসে অধ্যক্ষ কর্তৃক একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজানো নিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানেরই একাংশ আপত্তি তুলেছেন ও এটিকে অসমিয়া ভাষার উপর আগ্রাসন প্রতিপন্ন করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছেন৷ এনিয়ে  এবার তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করলেন সাধন পুরকায়স্থ৷

এক প্রেস বার্র্তয় সাধন পুরকায়স্থ বলেন যে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি যে উক্ত রবীন্দ্রসঙ্গীতের  অনুবাদকে বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গীত হিসেবে মান্যতা দেবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ কাজেই এটি মোটেই অধ্যক্ষের একার কোনো তাৎক্ষণিক বা একতরফা সিদ্ধান্ত নয়৷ বরঞ্চ অধ্যক্ষ যে এই গানটির অসমিয়া অনুবাদ করারও উদ্যোগ নিয়েছেন তা সাধুবাদ যোগ্য ও যদি এটির অনুবাদ বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হয় তবে আমরা খুশি হব যেহেতু তা উভয় সম্প্রদায়ের প্রতিকী মেলবন্ধন এর উদাহরণ হয়ে থাকবে৷ তিনি বলেন একটি দুষ্টচক্র এই ব্যাপারকে বাঙালি আগ্রাসন হিসেবে দেখাতে চাইছেন ও তারা যে ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক কারণে এই ধুয়ো তুলছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷

সাধনবাবু আরো বলেন যে কবিগুরুর সৃষ্টিকর্মের মান্যতা সর্বজনীন৷ যদিও তিনি বাঙালি সম্প্রদায়ভুক্ত কিন্তু  তাঁর সৃষ্টিকর্মের আবেদন সারা বিশ্বে মান্যতা পেয়েছে৷ আমরা আনন্দিত যে তাঁর নামাঙ্কিত একটি বিশ্ববিদ্যালয় এই রাজ্যে স্থাপিত হয়েছে ও এটির অধ্যক্ষ পদে আসীন হয়েছেন  এতদঞ্চলের একজন বিদগ্দ বঙ্গসন্তান, যার দ্বারা শুধু বাংলা নয়, অসমিয়া সাহিত্য, সংস্কৃতিও সমৃদ্ধ হয়েছে৷ তিনি বলেন এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে যেভাবে বিভাজন, বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে তাতে তাঁকে অসম্মান করা হচ্ছে ও এটা মোটেই সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ হতে পারে না৷ তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবিলম্বে এই অহেতুক বিতর্ক বন্ধ করতে আবেদন জানিয়েছেন৷ অন্যথা তার সংঘটন এ নিয়ে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলে এদিন মন্তব্য করেন তিনি৷