ঋদ্ধিমান প্রমাণ করলেন তিনিই বর্তমানে ভারতের  শ্রেষ্ঠ উইকেটকীপার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ক্রিকেটে উইকেটের পেছনে যে ব্যক্তি প্যাড, গ্লাভস্ পরে কিপিং করেন তিনি কিন্তু নিজের দলের সমস্ত খেলোয়াড়কে এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে দেখতে পান যেখান থেকে খেলার গতিবিধি বুঝে দলকে পরামর্শ দিতে পারেন খেলাটাকে নিজেদের অনুকুলে নিয়ে আসার জন্যে৷ সেই কারণে বলা ক্রিকেটের উইকেট কীপার বিপক্ষের ব্যাটসম্যানের ত্রুটি-বিচ্যুতি তথা দুর্বলতা বুঝে বোলার ও ফিল্ডারদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারেন৷  আর বিশেষ করে বোলারকে উরুত্বপূর্ণ নির্দেশটি পাঠাতে পারেন মিঃ উইকেটকীপার৷ সেই কারণে প্রখর উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগ প্রয়োগ করতে হয় উইকেটকিপারকে৷ এই কাজটি দলের অন্যান্যদের থেকে কিছুটা হলেও শক্ত৷ সেই কাজে ভারতীয়দের মধ্যে সৈয়দ কিরমানির নাম অবশ্যই উপরের সারিতে থাকবে৷ আর ভারতবর্ষের ক্রিকেট ইতিহাসের বাঙলার ঋদ্ধিমান সাহার ক্ষিপ্রতা ও প্রতিভা দেশের তাবড় তাবড় ক্রিকেট বোদ্ধাদের কাছে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে৷ অনেক প্রাক্তনী বলেছেন---বতমানে দেশের সেরা উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা৷ তাঁর সাবলীল চলাফেরা, উইকেটের পেছনে ডান দিকে তো বটেই বাঁদিকেও (যেহেতু তিনি ডানহাতি ব্যাটস্ম্যান, স্বাভাবিকভাবেই ডানদিকে তাঁর সাবলীলতা থাকবেই) তাঁর অসামান্য দ্রুততা তথা সঠিক পর্যবেক্ষণ নজর কেড়েছে অনেকেরই৷

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই সিরিজে তিনি  যে ৫টি শিকার ধরেছেন তার মধ্যে তিনটিই হাফ চান্সকে সম্পূর্ণভাবে নিজের অনুনিয়ে আসার দক্ষতায় ছিনিয়ে নেওয়া৷ অসাধারণভাবে লাফিয়ে ওঠা বলকে তালুবন্দী করতে সিদ্ধহস্ত তিনি৷ শেষ ম্যাচে এমন কয়েকটি বলকে তালুবন্দী করেছেন যেগুলি প্রচণ্ড গতি নিয়ে যথেষ্ট উচ্চতায় বাউণ্ডারীর দিকে উড়ে যাচ্ছিল৷ ছিপছিপে চেহাড়ার ঋদ্ধির অসাধারণ স্পট জাম্প বারবার বোলারদের ভরসা জুগিয়েছে৷

বেশ কয়েকবার চোটের কারণে খেলা থেকে দূরে থাকতে হয়েছে তাঁকে৷ নিজের যোগ্যতায় দলে ফিরে এসে ভাল খেলেছেন৷ বাঙলার হয়ে প্রথম যখন সুযোগ পান তখনই উইকেটের পেছনে তাঁর দক্ষতা সকলের নজর কাড়ে৷ ব্যাটেও মোটামুটি সাবলীল হয়েছেন ঋদ্ধি৷ তবে ভারতীয় দলের হয়ে ব্যাটিংয়ে আরও নির্ভরতা দিতে হবে ঋদ্ধিকে৷ দলের প্রয়োজনে দীর্ঘসময় পিচে টিঁকে থাকার প্রয়াস চালাতে হবে৷ উইকেটে টিকে থাকলেই রান পাবেন তিনি৷ সোজ ব্যাটে খেলার অভ্যাস রপ্ত করেছেন৷ সহ খেলোয়াড়রা ও সিনিয়ররা তাঁর ওপর ভরসা রেখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনটি টেস্টে৷ ঋদ্ধি সে কথা স্কীকার করে নিয়ে সহ খেলোয়াড়দের ও সিনিয়রদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন৷ বাঙালীদের যে প্রতিভা ও দক্ষতা যথেষ্ট তা প্রমাণ কবতে পেরেছেন ঋদ্ধিমান সাহা৷