সভ্যতার সঙ্কট-উত্তরণে তারকব্রহ্ম

লেখক
গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল

বর্তমান একবিংশ শতাব্দীতে এসে মানব প্রগতির বিভিন্ন দিক লক্ষ্য করলে দেখতে পাই, আজকের সমাজ  জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে, বিদ্যায় ও বৈদগ্দ্যে উন্নতির এক চরম শিখরে প্রতিষ্ঠিত হলেও ব্যষ্টিগত জীবনে আমরা অনেকেই লক্ষ্যভ্রষ্ট ও দিশাহীন৷ আবার বর্তমান ধনতান্ত্রিক কাঠামোয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই অভাবনীয় উন্নতির ফলেই একদিকে যেমন মানুষ এখন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে পাড়ি জমাচ্ছে কম্পিউটার, রোবট জাতীয় যন্ত্র আবিষ্কারের কারণে মানুষের দৈহিক শ্রম লাঘবের পাশাপাশি জাগতিক কাজকর্মে এসেছে অসম্ভব দ্রুতি, এর ঠিক বিপরীতে গোটা বিশ্ব জুড়ে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মানুষের কর্মহীনতা বা বেকারত্ব, যার সমাধানের চাবিকাঠি এখন আর কারও হাতে নেই৷ অন্যদিকে এখন পৃথিবী ব্যাপী মুষ্টিমেয় একশ্রেণীর মানুষের ঘরে জমছে যেমন প্রয়োজনাতিরিক্ত ভোগ্যপন্য ও প্রাচুর্য্যের পাহাড়, তেমনি দ্রুত দুনিয়া জুড়ে বেড়ে চলেছে বুভুক্ষু মানুষের হাহাকার৷ ফলে সমাজে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে অসাম্য তথা আর্থিক ব্যবধান ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে৷ আই.এম.এফ.-এর পরিসংখ্যান রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, ২০১১ সালে যেখানে গোটা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক সম্পদ ৩৮৮টি পরিবারের হাতে জমা ছিল, সেখানে ৭ বছর আগে ২০১৫-তে এসে মাত্র ৬২টি পরিবারের হাতে তা কেন্দ্রীভূত হয়েছে৷ সাতবছর পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হয়েছে৷ এই প্রশ্ণে আমাদের নিজ দেশে ভারতবর্ষের অবস্থাও অত্যন্ত করুণ৷ কয়েক বছর আগে অর্জুন সেন কমিশনের রিপোর্ট মোতাবেক দেশের প্রায় ৮০ শতাংশের অধিক লোকের মাথাপিছু দৈনিক আয় যেখানে মাত্র ২০ টাকা সেখানে কোটি পতির সংখ্যা বেড়ে চলেছে অতি দ্রুতগতিতে৷ লক্ষ-কোটিপতির সংখ্যাই বর্তমানে এদেশে ৭৫ জন৷ আর একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে, প্রতি বছর ভারত থেকে কর ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দুর্নীতিবাজ ও কর্পোরেট সংস্থার মালিকেরা প্রায় ৫১০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে যা আবার বিশ্বায়নের হাত ধরে এদেশে ঘুরে এসে ভারতের মানুষকেই শোষণ করে চলেছে৷ অত্যন্ত উদ্বেগের খবর এই যে ভারত থেকে উল্লিখিত কালো টাকার পাচারে ইতোমধ্যেই বিশ্বের চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে যা নিকট ভবিষ্যতে ভারতের অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে ছাড়বে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত৷ শুধু ভারতবর্ষ নয়, বর্তমানে এই পরিস্থিতির শিকার উন্নতিশীল ও আফ্রিকার  দেশগুলির মত সমস্ত অনুন্নত দেশগুলিই৷ এ অবস্থায় গোটা বিশ্ব জুড়ে মানুষের বেঁচে থাকার জন্যে নূ্যনতম সংস্থান তথা অন্ন-বস্ত্র-শিক্ষা-চিকিৎসা ও বাসস্থানের এখন চরম সংকট দেখা দিয়েছে৷ অর্থাৎ সৃষ্টির শুরুতে মানুষ বেঁচে থাকার জন্যে যে সংগ্রামটা শুরু করেছিল এই বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগে এসেও সেই লড়াইটা তাকে সমানভাবেই চালিয়ে যেতে হচ্ছে৷ এই প্রশ্ণে ধনতন্ত্রের বিকল্প হিসাবে উত্থান হওয়া মার্কসবাদ বা কমিউন অর্থনীতিও বর্তমান বিশ্বের বুকে বাতিলের খাতায়৷ কাজেই সঙ্গত কারণে বিশ্বের তাবড় বিদ্বজ্জনের মনে এখন প্রশ্ণ জেগেছে---‘হোয়াট নেক্সট’ ৷

বর্তমানে বিশ্বের অন্য একটি সংকট হ’ল শক্তিধর রাষ্ট্রগুলির পরমাণু অস্ত্রের ক্রম প্রসার ও বিশ্বব্যাপী আই.এস.আই.-এর  মত উগ্র ধর্মমতাশ্রয়ী, বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির আত্মপ্রকাশ ও ক্রমবর্ধন শক্তি বৃদ্ধি৷ এই সবের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত যত ব্যবস্থাই নেওয়া হোক না কেন এখনও অবাধ তেমন কোন ইতিবাচক ফল যে হয়নি তা অনেকেই স্বীকার করেছেন৷

তাছাড়া আর একটি মহাসঙ্কট যা মানব অস্তিত্বের জন্যে এখন বিরাট হুমকী হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা হ’ল জলসঙ্কট ও বিশ্ব পরিবেশ দূষণ৷ বর্তমানে ভারত সহ গোটা বিশ্বজুড়ে পানীয় জলের জন্যে হাহাকার ও পরিবেশ দূষণের ফলে দ্রুত হারে বিশ্ব উষ্ণায়ন নতুন নতুন জটিল রোগের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে যা নিয়ন্ত্রণ করা এখন প্রায় মানুষের আওতার বাইরে৷ প্রশ্ণ জাগছে, এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই কি মানব সভ্যতা পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ণ হয়ে যাবে৷

মানব সভ্যতার ঠিক এই চরম দুর্দিনে বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে অর্র্থাৎ ১৯২১ সালের বৈশাখী পূর্ণিমার দিন প্রত্যুষে, বিহারের জামালপুরে, শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ সরকার ও শ্রীমতী আভা দেবীর ঘরে আবির্ভূত হলেন এ যুগের পতিতপাবন, তারকব্রহ্ম শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী৷

 যাঁর লৌকিক নাম শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার, ধর্ম, দর্শন, শিক্ষা, সঙ্গীত, ভাষা, সাহিত্য, নৃতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান সর্বোপরি অর্থনীতি ও পরিবেশ সমস্যা সমাধানের ওপর যুগান্তকারী অবদান রেখেছেন৷ আজকের এই ক্ষুদ্র নিবন্ধে পূর্বে উল্লিখিত সমস্যাগুলির নিরিখেই তাঁর সুচিন্তিত অভিমত বা দার্শনিক সিদ্ধান্ত সমূহের অংশ বিশেষ তুলে ধরার চেষ্টা করছি৷

এ প্রসঙ্গে যে কথাটি প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় তা হ’ল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুধু একজন ধর্মগুরুই নন, তিনি আধ্যাত্মিক জগতের গুরু, মানসিক জগতের গুরু, আবার তিনি জাগতিক ক্ষেত্রেরও গুরু---অর্থাৎ ত্রিস্তরীয় গুরু৷ অধ্যাত্ম-গুরু হিসেবে মানুষের আত্মিক  মুক্তির জন্যে তিনি যেমন ধর্মসাধনা তথা যুগোপযোগী বিজ্ঞানভিত্তিক ধর্মানুশীলনে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছেন, তেমনি নীতিবাদ যেহেতু সাধক জীবনের ভিত্তি ও বর্তমান সমাজ জীবনেরও অন্যতম চাহিদা তাই তিনি নীতিবাদকে প্রত্যেকের জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্যে অষ্টাঙ্গিক  যোগসাধনার প্রথম দুই অঙ্গ ‘যম-নিয়ম’কে (জীবনবেদ দ্রষ্টব্য) অবশ্য পালনীয় বলে চরম নির্দেশ দিয়েছেন৷ আবার যেহেতু খালি পেটে ধর্ম হয় না, তাই তিনি চেয়েছেন আত্মিক মুক্তির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জাগতিক কল্যাণ বা কর্তব্য সাধন৷ অর্থাৎ তাঁর মতে মানুষের জীবনের লক্ষ্য হবে ‘আত্মমোক্ষার্থং জগতহিতায় চঃ’ subject approach through objective adjustment) আর জাগতিক সমস্ত সমস্যা সমূহের সমাধানের জন্যেই ধর্মগুরু হয়েও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ওরফে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার প্রাউট দর্শনের মত অর্থনৈতিক দর্শনের সৃষ্টি করেছেন৷ তাঁর ভাষায়---‘একটা মানুষ অন্যের মুখের গ্রাস কেড়ে নেবে এটা তো উচিত নয়৷ সুতরাং মানুষ যাতে বিধিসম্মতভাবে তার সমস্ত সম্পদ নিজেদের মধ্যে মিলেমিশে ভাগ করে কাজে লাগাতে পারে তার একটা ব্যবস্থা দরকার ছিল৷ যা এর আগে কোনও মহাপুরুষ করেননি...৷ এই না করার জন্যে সমাজ জীবনে যে অনুপপত্তি থেকে গিয়েছিল সেই অনুপপত্তির জন্যে মানুষের যত দুঃখ-কষ্ট ভোগ চলছিল, যাতে এটা না হয়, যাতে মানুষ তার মহত্তর লক্ষ্যকে চোখের সামনে রেখে জাগতিক দুঃখ, ক্লেশ ও শোক দূর করবার চেষ্টা করে সেই জন্যেই প্রাউট দর্শনের সৃষ্টি হয়েছে৷ প্রাউট দর্শন সৃষ্টি করা ছাড়া অন্য কোনও পথ ছিল না৷ তা যদি না করা হ’ত আরও হয়তো শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের দুঃখ, কষ্ট, ক্লেশ চলতেই থাকত’৷ ধনতন্ত্রের যেখানে ব্যষ্টি পুঁজিবাদ সেখানে বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দ্বারা প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র কায়েমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে প্রাউট প্রবক্তার সুপারিশ হ’ল উল্লিখিত সমাজতন্ত্র কার্যকরী করার জন্যে গোটা বিশ্বকে  অর্থনৈতিক সমস্যা,  অর্থনৈতিক সম্ভাবনা, ভূ-প্রকৃতি, ভাষা-কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও সংবেদনিক উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে একাধিক স্বয়ং সম্পূর্ণ সামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চলের পুনর্বিন্যাস করে ব্লকভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে৷ এতে যেমন সম্পদের সর্বাধিক উপযোগ নেওয়া যাবে তেমনি বন্ধ হবে অর্থ ও মেধার বহিঃস্রোত ও শোষণ৷ অপরদিকে স্থানীয় লোকেরও কর্মসংস্থান হবে ১০০ শতাংশ৷ বর্তমানে জাগতিক সব সমস্যার সমাধানের প্রশ্ণে এই প্রাউট দর্শনই হতে পারে৷ এটা একমাত্র মানবমুক্তির পথনির্দেশ৷

অন্যদিকে   জগতগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুধু যে মানবজাতির কল্যাণের কথাই ভেবেছেন তাই নয় পশুকুল ও উদ্ভিদকুলের কীভাবে কল্যাণ হবে তারও পথ-নির্দেশনা দিয়েছেন তাঁর রচিত অমূল্য গ্রন্থ ‘বুদ্ধির মুক্তি নব্যমানবতাবাদ’ নামক গ্রন্থে৷ মানুষের জীবনের ইতি কর্তব্য স্থির করতে গিয়ে তাঁর রচিত প্রভাত সঙ্গীতের মাধ্যমে তিনি সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন---‘মানুষ যেন মানুষের তরে সব কিছু করে যায়

একথাও যেন মনে রাখে      পশুপাখীও তার পর নয়---

তরুও বাঁচিতে চায়৷’

তাছাড়া শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী দেওয়া অভিনব দর্শন অনুযায়ী বর্তমান গোটা পৃথিবী ব্যাপী সম্প্রদায় সম্প্রদায়ে, বিভিন্ন ধর্মমতের সঙ্গে ধর্মমতের বিরোধ নিরসন করার একমাত্র উপায় হ’ল---‘ধর্মমত আলাদা হলেও বিশ্বের সব মানুষের একই ধর্ম তথা মানব ধর্ম বা ভাগবৎ ধর্ম, মানুষ মানুষ ভাই ভাই শৃন্বন্তু বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রাঃ অথবা হরমে পিতা, গৌরী মাতা, স্বদেশভূবনত্রয়ম আমরা সবাই বিশ্ব নাগরিক, এই বিশ্ব আমাদের সকলের এজমালি সম্পত্তি, একান্নবর্তী পরিবারের মতই আমরা সবাই মিলেমিশে একে ভোগ করব’৷ এই ভূমা ভাবাদর্শের ব্যাপক প্রচার৷ উল্লেখ্য যে এই উদ্দেশ্যেই আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ বর্তমানে বিশ্বের ১৮২টিরও অধিক দেশে সেবাকার্য ও ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে৷

পরিশেষে বিশ্ব পরিবেশকে সুরক্ষার প্রশ্ণে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী কিছু গঠনমূলক নির্দেশকে আলোচ্য প্রবন্ধে তুলে ধরছি, যা ইতোমধ্যেই গোটা বিশ্বের পরিবেশবিদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে৷ আনন্দমার্গ সংঘটন সৃষ্টির গোড়ার দিকে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী অনুগামীদের প্রতি  তাঁর নির্দেশ আগামী দিনে জলসঙ্কট নিরসনের জন্যে যাতে ভূ-গর্ভস্থ জল উত্তোলন যত শীঘ্র সম্ভব বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ নতুবা অচিরেই ভূ-গর্ভের জলস্তর নীচে নেমে যাওয়ার জন্যে পানীয় জলের সঙ্কটের পাশাপাশি ভূ-ত্বকে অবস্থিত উদ্ভিদ বা গাছপালার অস্তিত্বের সঙ্কট দেখা দেবে৷ সৃষ্টি হবে নতুন করে মরুভূমি অঞ্চল৷ বাস্তবে আমরা লক্ষ্য করছি ভারত সহ গোটা বিশ্ব জুড়ে পানীয় জলের জন্যে ইতোমধ্যেই যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে তা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ভবিষ্যৎ বাণীরই প্রমাণ মেলে৷ তাঁর রচিত ‘কৃষি কথা’ ও পরিবেশ বিষয়ক গ্রন্থ ও প্রবন্ধে তিনি অভিমত দিয়েছেন যে, জলাশয়ের জন্যে কাটা পুকুরের গভীরতা যাতে কমপক্ষে সাত ফুট বা তার অধিক হয় ও তাতে যাতে কমপক্ষে এক কেজি ওজনের মাছ থাকে যারা বাতাস থেকে অক্সিজেন টেনে পুকুরের জলের সমতা অনেকটা বজায় রাখতে পারবে৷ পুকুরের পাড়ে এমন গাছ লাগাতে হবে যাতে বৃষ্টির সময় জল ধারণ করে শুখা মরসুমে পুকুরে জল ছাড়তে পারে৷ তৃষ্ণার জল নিবারণের জন্যে যেমন তিনি বৃষ্টিপাত অঞ্চলের বৃষ্টির জল সংরক্ষণের সুপারিশ করেছেন তেমনি ভূ-ত্বকের জলস্তর ঠিক রাখার জন্যে নদীতে বড় বাঁধের পরিবর্তে ছোট আকারে পরপর অনেকগুলি বাঁধ নির্মাণের কথাও বলেছেন৷ তাছাড়া বিশ্বের সমস্ত প্রাণী ও উদ্ভিদ্‌ জগতকে মানুষ কীভাবে সংরক্ষণ ও সংবর্ধন করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করবে তার প্র্যাকটিক্যাল ডেমোষ্ট্রেশ্ণ দেবাব জন্যে তিনি আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রম পশ্চিমবঙ্গের আনন্দনগরকে নিজ পরিকল্পনা মত গড়ে তুলেছেন যা বিশ্বের পরিবেশবিদদের কাছে একটি আদর্শ গবেষণার স্থান হিসেবে ইতোমধ্যেই স্বীকৃতি লাভ করেছে৷ ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও-ডি-জেনেরো শহরে অনুষ্ঠিত ‘বসুন্ধরা’ সম্মেলনে ‘আনন্দনগর’ মডেল তথা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পরিবেশ ভাবনা উচ্চ প্রশংসা লাভ করেছে৷ বুদ্ধ-পূর্ণিমা তথা আনন্দ পূর্ণিমায় শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পূণ্য আবির্ভাব দিবসে তাঁর শ্রীচরণ পাদপদ্মে আমার সহস্র কোটি প্রণাম৷