তিরন্দাজ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টে বিশ্বজয়ী অদিতি

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

বাবার স্বপ্ণকে বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্য মাত্র ১৭ বছর বয়সে ব্যক্তিগত ইভেন্টে তিরন্দাজিতে বিশ্বজয়ী হয়েছে অদিতি স্বামী৷ তাঁর বাবা গোপীচাঁদ স্বামীর অপরিসীম পরিশ্রমের মাধ্যমে এই স্থান অধিকার করতে পেরেছে অদিতি৷

অদিতির বাবা গোপীচাঁদ স্বামী পেশায় হলেন একজন গণিত শিক্ষক৷ সন্তান ক্রীড়াবিদ করার জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরবাসী হন৷ ১২ বছর বয়সী  মেয়েকে নিয়ে সোজা চলে যান সাতারার শাহু স্টেডিয়ামের স্পোর্টস কমপ্লেক্সে৷ চারিদিকে বিভিন্নরকম খেলা চলছিল৷ তবে রোগাপাতলা ছোট্ট মেয়েটির চোখ ঘুরে ফিরে চলে যাচ্ছিল মাঠের পাশের তিরন্দাজি রেঞ্জে৷ অদিতির আকর্ষণের মাধ্যম নির্ণয় করতে অসুবিধা হয়নি গোপীচাঁদ বাবুর৷

তাই ফাইনালে যখন ১৪৯-১৪৭ পয়েন্টে  মেক্সিকোর আন্দ্রিয়া বেসেরাকে হারিয়ে যখন সোনা জয় করলেন অদিতি তখন গোপীচাঁদ বাবুর আনন্দের সীমানা ছিল না৷ কারণ বহুকষ্টে তিনি তার মেয়েকে গড়ে তুলেছেন৷ অদিতির খেলার সামগ্রী জোগাড় করতে খুব সমস্যায় পড়েন তিনি৷ কারণ একটা ভালো ধনুকের দাম প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা৷ তির আরও ৫০ হাজার টাকা করে৷ তবু অদিতির অগ্রগতিতে কোনো আঁচ পড়তে দেননি তিনি৷  একটু একটু করে ব্যাঙ্কের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা হয়ে যায় অদিতির বাবার৷

গোপীচাঁদ বাবু জানান---‘‘আমার যা কষ্ট হবার হোক কিন্তু  আজ মনে হচ্ছে , আমার সব প্রচেষ্টা ষোলো আনাই মেয়ে সফল করে দিয়েছে৷’’

মেয়ের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরে পা রেখেছিলেন গোপীচাঁদ বাবু নতুন জায়গায়  সবকিছু গুছিয়ে  উঠতে গিয়ে অনেক ভোগান্তি হলেও তিনি তাঁর মেয়ের জন্য গর্বিত৷