১লা জুলাই বিধানরায়ের আবির্ভাব ও তিরোধান দিবসে বিধাননগরের জমি বাড়ী বাঙালীদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে  আমরা বাঙালীর মিছিল ও পথসভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় তাঁর স্বপ্ণের শহর সল্টলেক তথা বিধাননগরের পত্তন করেছিলেন সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালীদের জন্যে৷ কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে অবাঙালী পুঁজিপতিরা দখল করে’ এখানে বাঙালীদের সংখ্যালঘু করে’ দেওয়ার  চক্রান্ত করে’ চলছে৷ ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন ও তিরোধান দিবস ১লা জুলাই ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে  বিধাননগরের করুণাময়ী বাসস্ট্যাণ্ড থেকে ময়ুখ ভবন পর্যন্ত এক বিরাট প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয় ও সেখান থেকে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্ত্তিতে মাল্যদান করেন ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সচিব মাননীয় শ্রীবকুল চন্দ্র রায় ও বাঙালী মহিলা সমাজের পক্ষ থেকে সাগরিকা পাল ও একে একে অনিতা চন্দ, গোপা শীল প্রমুখ৷ এই দিনটির গুরুত্ব উল্লেখ করে মাননীয় কেন্দ্রীয় সচিব ও অন্যান্য বক্তারা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, মধ্যবিত্ত বাঙালীদের কথা ভেবে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় বিধাননগর তৈরী করার পরিকল্পনা করেছিলেন ও বিধাননগর গড়েও ছিলেন৷ কিন্তু আজ আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, মোটা অর্থের বিনিময়ে অবাঙালী পুঁজিপতিরা বাঙালীদের হাত থেকে ও এক ধরণের দালালদের হাত ধরে বিধাননগরের সমস্ত বাড়িঘর ও জমি কিনে চলেছেন৷ এরই প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’র বক্তারা অবাঙালী পুঁজিপতিদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, অবিলম্বে এই সমস্ত জমি ফেরত দেবার জন্যে প্রস্তুত থাকুন, নতুবা আমরা বাঙালীর দল আগামীতে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের পথে অগ্রসর হবে৷

এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের বাঙলার স্বার্থবিরোধী নীতি ও জোর করে বাঙলার ওপর হিন্দী চাপিয়ে দেবার অপচেষ্টায় এখানে দুঃসহ একটা পরিস্থিতি তৈরী করা হয়েছে৷ ‘আমরা বাঙালীর’ বক্তারা এরও তীব্র প্রতিবাদ করেন ও নিন্দা করেন৷

এরপর উপরিউক্ত মিছিলটি বিধাননগরের বিভিন্ন রাস্তা পবিক্রমা করে করুণাময়ী বাস স্ট্যাণ্ডের কাছে পৌঁছে  একটি পথসভা করেন৷ পথসভার শুরুতে স্পান্দনিক শিল্পী শঙ্কর কুণ্ডু একটি প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ উক্ত পথসভায় উপরিউক্ত দাবীতে একের পর এক বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু ঘোষ, অরূপ চ্যাটার্জী, জয়ন্ত দাশ, জ্যোতিবিকাশ সিন্হা, গোপা শীল, তপোময় বিশ্বাস, কৌস্তুভ সাহা ও মাননীয় কেন্দ্রীয় সচিব শ্রীবকুল চন্দ্র রায় মহাশয় প্রমুখ৷