ডম/ডোম
‘ডম্’ ধাতু+ অচ্ প্রত্যয় করে ‘ডম’ শব্দ নিষ্পন্ন হচ্ছে৷ ‘ডম’ শব্দটি ব্যুৎপত্তিগত স্বীকৃতি পাচ্ছে কিন্তু ‘ডোম’ শব্দটি সে স্বীকৃতি না পেলেও বৈবহারিক স্বীকৃতি পাচ্ছে৷ তাই সংস্কৃতে ডম/ডোম দুই-ই শুদ্ধ৷ ‘ডম্’ ধাতুর অর্থ বাদ্যযন্ত্রে ধবনি সঞ্চার করা৷ প্রাচীনকালে যারা ৰাঁশ কেটে ৰাঁশী তৈরী করত, ‘ধবনিসৃষ্টিকারী’ এই অর্থে তাদের ‘ডম’ বা ‘ডোম’ ৰলা হত৷ ডোম-রমণীরা বাঁশের ট্যাচারি দিয়ে নবজাত শিশুর নাড়ি কেটে দিতেন৷ ৰাঁশের সঙ্গে ডোমেদের ছিল এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক৷ এখনও লোকে ৰলে থাকে ‘বাঁশ’ ৰনে ডোম কাণা৷ প্রাচীন ৰাংলায় ডোমের জন্যে ‘ডোম্ব’ (পুং) ও ‘ডোম্বী’ (স্ত্রী) শব্দের ব্যবহার ছিল৷