আর্জেন্তিনার লিওনেল মেসির এটা শেষ বিশ্বকাপ৷ ক্লাব ফুটবলে অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় তিনি বার বার রেখেছেন৷ মারাদোনার
পরেই এই আর্জেন্তিনিয় অনেক প্রতিযোগিতায় নিজের
দলকে সেরার মুকুট উপহার দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু নিজের দেশকে তিনি বিশ্বকাপ এনে দিতে পারেননি৷ দেশের হয়ে বিশ্বজয়ের কৃতিত্ব তাঁর কাছে এখনও অধরা৷ আর এই
বিশ্বকাপই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ৷ ২০২২-এ মেসি অবশ্যই অতীতের নক্ষত্রই হয়ে
থাকবেন৷ মারাদোনার পর মেসিই আর্জেন্তিনার জনপ্রিয় তারকা ফুটবলার৷ তবে মারাদোনার খেলোয়াড় জীবনের অনেক ঘটনাই চাঞ্চল্যকর৷ ১৯৮৬-তে মারাদোনা বিশ্বকাপ জয় করেছিলেন৷ সেই বিশ্বকাপে অসাধারণ সব গোল করেছিলেন মারাদোনা৷ ইংলণ্ডের বিপক্ষে প্রায় সাত জনকে কাটিয়ে যে গোল করেছিলেন তা সর্বকালের সেরা গোলের মধ্যে পড়ে৷ চার বছর পর ১৯৯০-এ মারাদোনার নেতৃত্বে আবার ফাইনালে উঠেছিল আর্জেণ্টিনা কিন্তু ফাইনালে তাঁরা ১-০ গোলে পরাজিত হয়৷ মারাদোনা ডোপ কেলেঙ্কারী ও আরো অনেক ঘটনার নায়ক৷ কিন্তু দেশের প্রতি প্রবল আবেগপ্রবণ এই ফুটবলের রাজপুত্রের বাঁ-পা তাঁকে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে৷ সেই দেশেরই লিওনেল মেসিও অনেক বড় ফুটবলার৷ কিন্তু দেশের হয়ে জ্বলে ওঠার নজির এখনও মেসির পায়ে দেখা যায়নি৷ গত বিশ্বকাপে মেসির নেতৃত্বে আর্জেণ্টিনা জার্মানির কাছে ৪-০-তে হেরে বিদায় নেয়৷ তবে মেসির মত খেলোয়াড়রা যে একাই বিপক্ষ দলের কাছে ত্রাস হয়ে উঠতে পারেন তার অনেক নজির ফুটবলে আছে৷
সেই কারণেই মেসির ভক্তরা আশাবাদী যে নিজের শেষ বিশ্বকাপে নিজেকে উজাড় করে দেবেন ফুটবলের এই শিল্পী আর তিনিই হবেন ফুটবলেরGOAT অর্থাৎ ‘‘গ্রেটেষ্ট অব অল টাইম৷ যদিও মেসি নিজে কখনই এই নামে ভূষিত হতে চান না---তিনি নিজেকে একজন সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবেই পরিচয় দেন৷