২০১৮-র বিশ্বকাপের ফুটবল জ্বরে আক্রান্ত ফুটবল রসিকরা

সংবাদদাতা
ক্রীড়া প্রতিনিধি
সময়

ঘণ্টাধবনি বেজে উঠেছে ফিফা  বিশ্বকাপ ২০১৮-র৷ আগামী ১৪ই জুন থেকে রাশিয়াতে শুরু হতে চলেছে ফুটবলের এই মহারণ৷ যা শেষ হবে ১৫ জুলাইয়ে মস্কোর লুজনেকি ষ্টেডিয়ামে ফাইনালের মধ্য দিয়ে৷ ফুটবল মানেই উত্তেজনার পারদ তরতর করে উঠে যাওয়া৷ কাউণ্ট-ডাউন শুরু হয়েছে গেছে কোন দেশ জয় করে নেবে এই বিশ্বকাপ, আর কে হবে এই বিশ্বকাপের নায়ক? গত বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিল জার্র্মনি৷ আর এবারও কি জার্র্মনির হাতেই শোভা পাবে সোনালী বিশ্বকাপ? মেসি, রোনাল্ডো, নেইমার, সালাহ, ম্যাটস হামেলস্রা কতটা ছাপিয়ে যাবেন একে-অপরকে?

যাইহোক রাশিয়াতে মোট ৩২টি দেশ এই বিশ্বকাপের মূলপর্বে সেরা হওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামবে৷ মোট আটটি গ্রুপে মূল পর্বের এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে৷ এক-একটা গ্রুপে চারটি করে দল খেলবে৷ ফুটবলের এই সেরা প্রতিযোগিতায় যাঁদের দিকে ফুটবল রসিকরা তাকিয়ে থাকবেন তাঁরা হলেন---জোসুয়া কিমিচ, ম্যাটস, হ্যামেলস্, সের্খিও রামোস, মার্সেলো, টনি ক্রজ, লিওনেল মেসি, নেইমার, দাবিদ দে খেয়া, ইডেন হ্যাজার্ড, আঁতোয়া গ্রিয়াজমান, মহম্মদ সালাহ ও ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্ডো প্রমুখরা৷

আসলে দেশের হয়ে বিশ্বকাপে খেলাটাই অনেক সম্মানের৷ দেশের জন্য যেন ফুটবল মাঠে যুদ্ধে নামা এই বিশ্বকাপে৷ তাই সব খেলোয়াড়ই চান নিজের দেশের হয়ে নিজের সেরাটা দিতে৷ কিন্তু ফুটবল দলগত খেলা৷ যে দলের এগারোজনই সমানতালে বিপক্ষকে ছাপিয়ে যাবে তাদের হাতেই উঠবে বিশ্বকাপের বিজয় পতাকা৷

বিশ্বকাপের এই আসরে ভারতের ভূমিকা কী? এই প্রশ্ণের উত্তর খঁুজলে ভারতবাসী হিসেবে আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যায়৷ এত বড় দেশ, এত লোকসংখ্যা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে এত প্রতিভা, এত ফুটবল পাগল ভারতীয় অথচ বিশ্ব ফুটবল র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের স্থান অনেক নীচে৷ এশিয়ার মধ্যেও ভারত ফুটবলে অনেকটাই পিছিয়ে৷ ফুটবল নিয়ে ভারতে মাতামাতিও কম নয়৷ আর বাঙালীদের কথা বলতে গেলে বলা যায় ফুটবলের প্রতি বাঙালীর টান মজ্জাগত৷ বিশ্বকাপের সময় মেসি, রোনাল্ডো-নেইমাররা আমাদের কাছে যেন ঘরের ছেলে হয়ে যায়৷ তাই বিশ্ব ফুটবলে ফুটবল পাগল বাঙালী হিসেবে আমাদের একটা পরিচয় আছে৷

ফিরে দেখা---বিশ্বকাপের বে-মানান ঘটনা

l               ১৯৯৪ বিশ্বকাপে মারাদোনা ডোপ কেলেঙ্কারীতে ধরা পড়লেন৷ মারাদোনার মত খেলোয়াড়ের কাছে যা একেবারেই বে-মানান৷

l               ২০০৬-এ নিজের শেষ বিশ্বকাপ৷ ফাইনালে জিদান ঢুঁসো মারলেন মাতেরাজ্জির বুকে৷ লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে যেতে হ’ল জিদানকে৷

l               ১৯৯০ বিশ্বকাপে নেদারল্যাণ্ডসের ডিফেণ্ডার রাইকার্ড জার্মানির রুডি ফোলারকে কড়া ট্যাকল করে ফোলারের গায়ে থুতু দেন---বিশ্বকাপের আসরে যা অত্যন্ত বেমানান৷