কলকাতা থেকে চেন্নাই যেতে সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা, ভাড়াও নামমাত্র, ৬০০ টাকা৷ শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনাটি সত্যি৷ আইআইটি মাদ্রাজের ইনকিউবেশন সেলের সহায়তায় একটি স্টার্ট-আপ সংস্থা একটি উড়ন্ত সমুদ্রযানের নকশা তৈরি করে ফেলেছে৷ সেই যানে চড়ার স্বপ্ণ খুব শীঘ্রই বাস্তব হবে বলে দাবি করেছে ওয়াটারফ্লাই টেকনোলজিস নামের সংস্থাটি৷ শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা এই সমুদ্রযানের ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করে সাধুবাদ জানিয়েছেন৷ তাঁর এই পোস্টটি সমাজমাধ্যমে নজর কেড়েছে ও ভাইরাল হয়েছে৷ তিনি পোস্টে লিখেছেন, ‘‘প্রায় প্রতি সপ্তাহেই নতুন প্রযুক্তিগত উদ্যোগের খবর পাওয়া যায়৷ এই গাড়ির নকশাটি অসাধারণ!’’
স্টার্ট-আপ সংস্থাটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হর্ষ রাজেশ জানিয়েছিলেন, তাঁরা এই বৈদ্যুতিক যান তৈরি করে যাত্রাপথকে দ্রুততর ও খরচসাশ্রয়ী করার চেষ্টা করছেন৷ তিনি আরও জানান, অভিনব এই উড়ন্ত সমুদ্রযানে কলকাতা থেকে চেন্নাই পর্যন্ত ১,৬০০ কিলোমিটার পথ মাত্র ৬০০ টাকায় যাওয়া যাবে, যা ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণির বাতানুকূল টিকিটের চেয়ে সস্তা হবে৷ যানটি সমুদ্রের জলের খুব কাছ দিয়ে উড়বে৷ এর ফলে ডানার ঘর্ষণ কমবে ও কম গতিবেগে উড়তে পারবে বলে স্টার্ট-আপের আর এক প্রতিষ্ঠাতা কেশব চৌধরি জানিয়েছেন৷
একটি সাধারণ এয়ারবাস বা বোয়িং বিমান কলকাতা থেকে চেন্নাই যেতে আড়াই থেকে তিন টন এভিয়েশন টারবাইন ফুয়েল (এটিএফ) খরচ করে৷ খরচ পড়ে প্রতি কিলোলিটারে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা৷ তবে, নতুন এই উড়ন্ত সমুদ্রযান এই খরচ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমাতে পারে, যার ফলে টিকিটের দাম কম হবে বলে আশা করেছেন এই সংস্থার কর্তারা৷
যদিও এই প্রকল্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ সংস্থার পক্ষ থেকে কেবলমাত্র এটির নকশা উপস্থাপন করা হয়েছে৷ ১০০ কেজি ওজনের প্রথম ‘প্রোটোটাইপ’টি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রস্তুত হওয়ার আশা করছে সংস্থা৷ ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এক টনের একটি যান উড়ানের জন্য তৈরি হবে বলে জানানো হয়েছে৷ সংস্থাটি ২০২৬ সালের মধ্যে একটি ২০ আসনের যান তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে৷ সেই উড়ন্ত সমুদ্রযান চেন্নাই থেকে কলকাতা যাতায়াত করতে সক্ষম হবে৷