আনন্দনগরে আগামী ২৯, ৩০, ৩১শে ডিসেম্বর– তিন দিন ধরে আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনন্দমার্গীরা দলে দলে আসছেন এই ধর্মমহাসম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্যে৷ বহির্ভারতের বিভিন্ন দেশ থেকেও আনন্দমার্গীরা এই মহামিলন কেন্দ্রে অনেকেই ইতোমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন ও অনেকে আসছেন৷ দেশে বিদেশে আনন্দমার্গের প্রচার ও সমাজসেবার কাজে রত আনন্দমার্গের অবধূত, অবধূতিকা, ব্রহ্মচারী, ব্রহ্মচারিণীরা এই উপলক্ষ্যে কয়েকদিন আগেই আনন্দনগরে এসে গেছেন৷
আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় ধর্ম প্রচার সচিব আচার্য বিশুধ্যাত্মানন্দ অবধূত জানান– ধর্ম মহাসম্মেলনে মার্গগুরুর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত৷ তিনি প্রত্যহ দুইবেলা আধ্যাত্মিক দর্শনের বিষয়ে আলোচনা করবেন ৷ এছাড়া প্রত্যহ অপরাহ্ণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সাংঘটনিক পর্যালোচনা ও আগামী ছয় মাসের কার্যসূচী গ্রহন করা হবে৷
শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১৯৫৫ সালের ৯ই জানুয়ারী জামালপুরে প্রথম ধর্মমহাচক্র শুরু করেছিলেন৷ তারপর থেকে প্রতি বছরই বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে ধর্মমহাচক্রের অনুষ্ঠান করতেন৷ মধ্যবর্তী কয়েক বছর স্বৈরাচারী শাসকের অত্যাচার নেমে আসে আনন্দমার্গের ওপর, মার্গগুরুদেবকে গ্রেফতার করা হয় বিনা কারণে ও আনন্দমার্গ নিষিদ্ধ করা হয়৷ ১৯৭৭ সালে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর মার্গের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় ও মার্গগুরুদেব নির্দোষ প্রমাণিত হয়, তাঁর বিরুদ্ধে আনিত সমস্ত মিথ্যা মামলা খারিজ হয় যায় ও তিনি মুক্তি পান৷ তারপর থেকে প্রতি বছর আনন্দনগরে আন্তর্জাতিক নববর্ষ উপলক্ষ্যে ও বৈশাখী পূর্ণিমা আনন্দমূর্ত্তিজীর জন্মতিথি উপলক্ষ্যে বছরে দুইবার আনন্দনগরে ধর্মমহাচক্র অনুষ্ঠিত হত৷
১৯৯০ সালে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মহাপ্রয়াণের পর থেকেই বিশেষ করে, এই ধর্মমহাচক্রগুলিকে ধর্মমহাসম্মেলন নামে অভিহিত করা হয়৷ ধর্মমহাচক্রে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী স্বয়ং প্রবচন দিতেন৷ আর ধর্ম মহাসম্মেলনে তাঁর প্রতিনিধি মার্গের দর্শনকে ধর্মসম্মেলনে উপস্থিত মার্গের কর্মী ও ভক্তমণ্ডলীদের সামনে তুলে ধরেন৷ এবারেও ২০২৫ আন্তর্জাতিক নববর্ষ উপলক্ষ্যে আনন্দনগর সেজে উঠেছে৷
4
চার মাস পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশে সুশাসন দিতে ব্যর্থ ইউনুস সরকার
পি.এন.এ ঃ বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে উর্দু আগ্রাসনের হাত থেকে মুক্ত করতে৷ সে আন্দোলন সফল হলেও বাংলাদেশ আজও উগ্র ধর্মীয় জাতিবাদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি৷ গত আগষ্টে আন্দোলন শুরু হয়েছিল কোটা সংস্কার নিয়ে, সেই আন্দোলনই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়৷ তারই ফলে ৫ই আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন থেকে বাংলাদেশে ফিরে তত্ত্বাবোধায়ক সরকারের দায়িত্ব নেন ইউনুস৷
হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা যে অবনতি হয় ক্ষমতায় বসার পর ইউনুস সরকারের চারমাস অতিক্রান্ত হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি৷ বলা ভালো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ ইউনুস সরকার৷ সংখ্যা লঘুদের উপর হামলা নির্যাতন প্রাত্যহিক ব্যাপার৷ তবে বাংলাদেশের সংখ্যাগুরুরা শান্তিতে নেই৷ তারাও এখন পথঘাটে বেরতে ভয় পাচ্ছেন দুষৃকতিদের দৌরাত্মে৷ বিশেষ করে ঢাকা শহরে চুরি ছিনতাই তো হচ্ছে, দুষৃকতিদের ছুরির আঘাতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে৷ আহতের সংখ্যাও অনেক৷ পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রতিবাদে মানুষ পথেও নামছে৷ তাদের দাবী দুষৃকতীকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে, অবিলম্বে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে৷