৫০ ঘন্টা ব্যাট করার গিনিসের রেকর্ড ভাঙলের মুম্বাইয়ের সিদ্ধার্থ মোহিতে

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

২০১৫ সালে পুনের বিরাগ মারে ৫০ ঘন্টা ৪ মিনিট ৫১ সেকেন্ড ব্যাট করেছিলেন৷ সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন সিদ্ধার্থ৷ মারে বোলার ও বোলিং মেশিন দুই ধরনের বোলিংয়ের বিরুদ্ধেই খেলেছিলেন৷ সিদ্ধার্থ শুধু বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট করেছেন৷ তিনি যা করছেন তা সাধারণত সব ক্রিকেটার করতে চান না৷ টানা ৭২ ঘন্টা ব্যাট করার ভাবনা নিয়েই নেটে খেলতে ঢুকেছেন সিদ্ধার্থ৷

সিদ্ধার্থের কোচ জ্বলা সিংহ৷ তিনি বলেন, ‘‘এক দিন ও এসে আমাকে বলে যে টানা ৫২ ঘন্টা ব্যাট করার যে রেকর্ড রয়েছে তা ভেঙে দিতে চায় সে৷ আমি আগে কখনও এই ধরণের রেকর্ডের কথা শুনিনি৷’’ সিদ্ধার্থের এমন আবেদন শুরুতে  গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি জ্বলা৷ কিন্তু সিদ্ধার্থ এক সপ্তাহ পর ফের সেই আবেদন জানায়৷ তখন জ্বলা তাঁর কোচিং নেটে সিদ্ধার্থকে এই রেকর্ড ভাঙার জন্য সবরকম সাহায্য করতে রাজি হন৷

গত শুক্রবার রাত থেকে ব্যাট করা শুরু করেছেন সিদ্ধার্থ৷ ৫০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে ব্যাট করছেন এই ব্যাটার৷ সিদ্ধার্থ তাঁর বন্ধু, ভাই বোনদের সাহায্য নেন গিনেস বুকে নাম দেওয়ার নিয়ম নিয়ে৷ সেই নিয়ম মেনে এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন সিদ্ধার্থ৷ তার খুড়তুতো ভাই বৈভব পাওয়ার তিন দিনের জন্য সাক্ষী জোগাড় করেন, যাঁরা লক্ষ্য রাখবে সিদ্ধার্থ সব নিয়ম মানছেন কি না৷ সেই সাক্ষীরা এক এক জন চার ঘন্টা করে সিদ্ধার্থের উপর নজর রাখছেন৷ এক জন পুরো ঘটনাটি ভিডিও করছেন৷

সিদ্ধার্থ তাঁর বন্ধুদের মুম্বইয়ের থানেতে ডেকে নিয়েছেন তাঁকে বল করার জন্য৷ সিদ্ধার্থের মা বলেন--- এ কোন একটা রেকর্ড গড়তে চায় আলাদা কিছু করার ভাবনা ওর  কিন্তু কি করতে তা আমায় জানায় নি তাই ও লক্‌ডাউনের সময় থেকে অনেক অনুশীলন করেছে৷ ব্যাট করা সহজ নয়, তাও আবার এত ঘন্টা ধরে৷ ওর বন্ধুরা ওকে সাহায্য করেছে৷ আমি ক্রিকেট বুঝি না, কিন্তু আমার ছেলের পাশে আছি৷’’

প্রতি ঘন্টায় পাঁচ মিনিটের জন্য বিশ্রাম নিতে পারবে সিদ্ধার্থ৷ এছাড়া বাথরুমের জন্যও বিরতি পাবে সে৷ অনুশীলন নেটের পাশে বিছানাও রাখা হয়েছে৷ সিদ্ধার্থ শুধুমাত্র প্রোটিন জাতীয় খাবার ও পানীয় খেতে পারবে৷  সিদ্ধার্থের কোচ কোন দিন ভাবতেও পারেন নি যে মারের রেকর্ড ভেঙে দেবে তাঁর ছাত্র সিদ্ধার্থ৷ মারের রেকর্ড ভেঙে আধঘন্টার বিরতি নিয়েছেন সিদ্ধার্থ৷ সেই বিরতির সময় সিদ্ধার্থ বলেন, হঠাৎ করেই আমার মাথায় এ ভাবনা আসে  অনেকেই বলেছিল এটা অসম্ভব কিন্তু আমি এটাকে সম্ভব করতে পেরে খুব খুশি৷