অবহেলিত মানবতা --- অসম্মানিত  মানবিক মূল্য স্বার্থের সংঘাতে রক্তাক্ত গণতন্ত্রের বেদী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

  রাত পোহালেই নির্বাচন, গ্রাম দখলের  লড়াই৷ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় উৎকৃষ্ট পন্থা এই নির্বাচন৷ যার মাধ্যমে জনগণ তাদের কল্যাণের জন্যে রাষ্ট্র পরিচালনার  দায়িত্ব তুলে দেবে তাদেরই নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে৷ বর্তমান বিশ্বে যত প্রকার শাসন ব্যবস্থা আছে সভ্য ও ভদ্র সমাজের কাছে গণতন্ত্র তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো শান্তিপূর্ণভাবে স্বাধীন মত দিয়ে জনগণ রাষ্ট্রের পরিচালক বা সরকার ঘটন করে৷ তাই গণতন্ত্র সম্বন্ধে বলা হয়ে থাকে জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা, জনগণের সরকার৷

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন--- এ কেমন গণতন্ত্র! রাজতন্ত্রের অত্যাচার থেকে বাঁচার তাগিদে গণতান্ত্রিক মতবাদের সৃষ্টি, মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে শান্তিপূর্ণ ভাবে সরকার ঘটন করে তাদেরই কল্যাণের জন্যে৷ কিন্তু নির্বাচন এলেই কেন রাজনৈতিক দলগুলো এমন হিংস্র বর্বর হয়ে যায়? কেন রক্তাক্ত হচ্ছে গণতন্ত্রের  বেদী? শ্রী খাঁ বলেন--- গণতন্ত্র সেই সরষে যা কি না রাজতন্ত্রের ভূত তাড়ায়৷ কিন্তু সেই সরষের মধ্যেই রাজতন্ত্রের ভূত ঢুকে বসে আছে৷

জনগণের সেই ভূত চেনার বোধ শক্তি নেই৷  শ্রী খাঁ বলেন কেন্দ্রীত ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক কাঠামোয় গণতন্ত্র কখনই সফল হতে পারে না৷ কারণ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পুঁজিবাদের দাস হয়ে যায়৷ তাই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার জনগণের  জন্যে হয় না৷ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতার কুর্সীতে বসিয়ে রেখে বকলমে রাষ্ট্র চালায় পুঁজিপতিরাই৷ যারা  রাজতন্ত্রের চেয়ে অনেক বেশী ভয়ঙ্কর৷ রাজতন্ত্রের রাজার প্রতিনিধিরাই প্রত্যক্ষভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে৷ কিন্তু পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক কাঠামোয় ধূর্ত বনিকের দল জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সামনে রেখে অবাধে শোষণ চালায়৷ এই শোষকদের  না আছে মানবিকতা, না এরা সম্মান করে মানবিক মূল্যকে৷ রাজনৈতিক দলগুলো এদেরই ক্রীড়ানক৷ ধনকুবেরদের চতুর চালে ক্ষুদ্র স্বার্থের লোভে ভ্রাতৃঘাতী লড়াইতে মত্ত রাজনৈতিক দলের নেতা ক্যাডার কর্মী৷ একটা পঞ্চায়েত নির্বাচনকে  কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই ১৫জন নিহত হয়েছে৷ সভ্য সমাজে শান্তিপূর্ণভাবে বাঁচার জন্যে সৃষ্টি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা৷ সেই গণতন্ত্রের বেদীই আজ রাজনৈতিক দলগুলোর হিংস্র বর্বর আচরণে রক্তাক্ত৷

শ্রী খাঁ বলেন--- প্রাউটের মতে গণতন্ত্রকে  সফল করতে হলে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক  পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে হবে৷ প্রতিটি মানুষের হাতে জীবন ধারণের  নূ্যনতম প্রয়োজনপূর্তির ক্রয় ক্ষমতা দিতে হবে ও মানুষকে সামাজিক অর্থনৈতিক  ও রাজনৈতিক ভাবে সচেতন করতে হবে৷ এই সচেতন মানুষেরই বোট দেবার  অধিকার থাকবে৷ তবেই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা সার্থক হবে৷