অভাবের ভারতে খাদ্যের অপচয় সরকারী অবহেলায়-১৮২৩ কোটি টাকার খাদ্য শস্য নষ্ট

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

দেশের ১৩.৭ শতাংশ নাগরিক দু-বেলা ভর-পেট খেতে পায় না৷ ক্ষুধাসূচকে ১২৭টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১০৫ নম্বরে৷ ১৯ কোটির মত মানুষ অপুষ্টির শিকার৷ সেখানে সরকারের অবহেলায় গাফিলতিতে প্রায় ৬.২১ লক্ষ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য নষ্ট হয়েছে৷ যার আর্থিক মূল্য ১৮২৩ কোটি টাকা৷ এই পরিমান খাদ্যশস্য নষ্ট হয়েছে ২০১৯-২০ আর্থিক বছর থেকে চলতি আর্থিক বছরের সেপ্ঢেম্বর মাস পর্যন্ত অর্থাৎ মোদি জমানায়৷ আর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মোদি সরকারের খাদ্য ও গনবন্টন দপ্তর৷

যে দেশে মানুষ এখনও দু-বেলা পেট ভরে খেতে পায় না, অপুষ্টিতে ভোগে সেই দেশের সরকারের গাফিলতিতে মাত্র সাড়ে পাঁচ বছরে প্রায় দুহাজার কোটি টাকার খাদ্যশস্য মজুত রাখার গুদামের অভাবে ও গুদাম থেকে রেশন দোকানে নিয়ে যাওয়ার সময় নষ্ট হয় চাল-গম৷ কর্ষকদের কাছ থেকে সংগৃহীত খাদ্যশস্য মজুত রাখার পর্যাপ্ত গুদাম নেই সরকারের হাতে৷ খাদ্যশস্য মজুতের মোট গুদাম আছে ২১৮১টি৷ এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব গুদাম মাত্র ৫৭০টি বাকি গুদামগুলো ভাড়ায় নেওয়া আছে৷

মূলত এফ.সি.আই (ফুড কর্র্পেরেশন অব ইন্ডিয়া) এর গাফিলতিতে এইভাবে খাদ্যশস্য অপচয় হচ্ছে৷ জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন মতে মানুষের কাছে খাদ্য শস্য পৌঁছে দিতে গেলে খাদ্য মজুত রাখতে পর্যাপ্ত গুদাম তৈরী করতে মোদি সরকার৷ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এফ.সি.আই-এর লক্ষ ছিল ৫০১০০ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য গুদাম জাত করার গুদাম তৈরীর৷ কিন্তু তার ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি এফ.সি.আই, গুদাম তৈরী হয়েছে ১৭৬০টি৷ আবার ২০২৪-২৫ বর্ষে লক্ষ্যমাত্রা ৫৮৫৪০ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য মজুত রাখার গুদাম তৈরীর৷ কিন্তু সেপ্ঢেম্বর মাস পর্যন্ত কোন কাজই হয়নি৷

রেশন দোকানে খাদ্য পৌঁছানোর সময় যে খাদ্য অপচয় হচ্ছে তা বন্ধ করার কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না এফ.সি.আই৷ তার ফলে অনেক সময় গ্রাহকদের কম খাদ্য-শস্য পাওয়ার অভিযোগ উঠছে৷ এর দায় এসে পড়ছে রেশন দোকানদারদের ঘাড়ে৷ রেশন দোকানদাররা সরকারের কাছে মাল দেওয়া নেওয়ার সময় ক্ষতি হিসেবে ১বস্তা পিছু খাদ্য ভর্তুকি চেয়েছিল এছাড়া বাড়তি কমিশন, তবে এসবে কান দেয়নি সরকার৷ অথচ নীতি আয়োগের বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব বলেন মাত্র ১১.৭ শতাংশ দোকানদার প্রতিমাসে মাত্র ১০ হাজার টাকা উপার্জন করে৷