আইএসএলের ফাইনালে উঠল বেঙ্গালুরু এফসি৷ গত রবিবার ফতোরদা স্টেডিয়ামে গোয়ার কাছে তারা ১-২ ব্যবধানে হেরে গেলেও, দুই পর্ব মিলিয়ে ৩-২ জিতে ফাইনালে গেল৷ অতিরিক্ত সময়ে গোল করে নায়ক সুনীল ছেত্রী৷ কেন তাঁকে ভারতের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার বলা হয় তা আরও এক বার প্রমাণ করলেন সুনীল৷ ম্যাচের বেঙ্গালুরুর একটিই গোলে শট ছিল৷ সেটি সুনীলেরই৷ গোটা ম্যাচে গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু অসাধারণ কিছু সেভ না করলে ম্যাচটা হারার কথা বেঙ্গালুরুর৷
দু’গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় খেলতে নামা মোটেই সহজ কাজ ছিল না৷ মানোলো মার্কেজের গোয়া তাই শুরু থেকেই তেড়েফুঁড়ে খেলতে থাকে৷ প্রথম মিনিট থেকেই গোয়ার আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে বেঙ্গালুরুর বক্সে৷ বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল গোয়ার ফুটবলারদের পায়েই৷ অনবরত চাপ দিয়ে যেতে থাকে তারা৷ বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোল আসেনি৷ বেঙ্গালুরুর রক্ষণভাগ সাবধানি ছিল৷ গোয়ার প্রতিটি আক্রমণই আটকে দিচ্ছিল তারা৷
বেঙ্গালুরু নজর দিয়েছিল প্রতিআক্রমণে৷ এক দিক থেকে গোয়ার আক্রমণ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি সুযোগ পেলেই দ্রুত গতিতে প্রতিআক্রমণে উঠে যাচ্ছিল তারা৷ তবে তারাও গোল করতে সফল হয়নি৷ গোয়ার হয়ে উদান্তা সিংহ প্রায় গোল করেই ফেলেছিলেন৷ বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে তা বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত৷ পরে বোরহারও একটি প্রয়াস বাঁচিয়ে দেন৷
বিরতির পরেই এগিয়ে যায় গোয়া৷ বক্সের ঠিক বাইরে আয়ুষ ছেত্রীকে ফেলে দেওয়ায় ফ্রিকিক পেয়েছিল তারা৷ সরাসরি ফ্রিকিকে গুরপ্রীতকে পরাস্ত করে গোল করেন বোরহা৷ গোল পেয়ে আরও ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ে গোয়া৷ একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে৷ বল জালে জড়িয়েছিলেন ডেজান দ্রাজিচ৷ তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়৷
৭০ মিনিটের মাথায় পর পর দু’টি সেভ করেন গুরপ্রীত৷ প্রথমে উদান্তা বল রেখেছিলেন ইকের গুয়েরোচেনার কাছে৷ তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত৷ ফিরতি বল যায় আয়ুষের কাছে৷ তাঁর শটও বাঁচিয়ে দেন বেঙ্গালুরু গোলকিপার৷
নির্ধারিত সময়ের কিছু ক্ষণ আগে দ্বিতীয় গোল করে সমতা ফিরিয়ে আনেন আর্মান্দো সাদিকু৷ ডান দিক থেকে আকাশ সাঙ্গোয়ানের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন৷ তার পরেই মোহনবাগানের প্রাক্তন স্ট্রাইকারকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়৷ এ কারণে শাস্তিও পেতে হতে পারে তাঁকে৷
তবে সাদিকুর সেই উচ্ছ্বাস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি৷ আক্রমণ করতে গিয়ে তারা রক্ষণেই ভুল করে বসে৷ সেই সুযোগে গোল করেন সুনীল৷ গোয়ার এক খেলোয়াড় বক্সের মধ্যেই ব্যাক পাস দিয়েছিলেন৷ তা ধরার কেউ ছিলেন না৷ সেই বল ধরে বক্সে ক্রস ভাসিয়েছিলেন নামগিয়াল ভুটিয়া৷ ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা সুনীল হেডে গোল করে দলের ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করেন৷