ঐক্য সংহতির সোপান

সংবাদদাতা
পত্রিকা প্রতিনিদধি
সময়

সমগ্র মানবজাতির সংস্কৃতি এক তবে অভিব্যক্তিতে আঞ্চলিক তারতম্য রয়েছে৷ ‘শিক্ষা’ সাংস্কৃতিক জীবনেরই একটা অঙ্গ৷ শিক্ষা অবশ্যই নিঃশুল্ক হওয়া উচিত ও তা বিশ্বৈকতাবাদের ভিত্তিতে হওয়া উচিত৷ শিক্ষাকে বাস্তবায়নের সময়ে অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে সমাজে এক এক অঞ্চলের স্থানিক পরিস্থিতি সমস্যা ও স্থানিক প্রয়োজন এক এক রকমের৷ তাই শিক্ষাগত সংরচনা তৈরি করার সময় এই মৌলিক তত্ত্বটাকে মনে রাখতে হবে৷ (কনিকায় প্রাউট, নবম খন্ড) ৷

ভারতবর্ষের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভাষা, কৃষ্টি আহার বিহার পোশাক পরিচ্ছদ প্রভৃতি বিষয়ে সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন৷ সেই জন্যই ভারতবর্ষকে বলা হয়---‘বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য’৷ বাঙলার কবি লিখেছেন----- ‘বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান’৷ বিবিধের বৈচিত্রের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রাখলেই ভারতবর্ষের সংহতি বজায় থাকবে৷ আজ যে অর্বাচীনের দল রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ভাষা শিক্ষানীতি প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একের আওয়াজ তুলছে, সেই অর্বাচীনের দল হিন্দুস্থানী প্রেমিক হলেও ভারত প্রেমিক নয়৷ ভারতবর্ষের সংহতি দৃঢ় করতে হলে প্রাউট প্রবক্তার শিক্ষা বিষয়ে উপরোক্ত মৌলিক তত্ত্ব মেনেই নীতি নির্ধারণ করতে হবে৷ শুধু শিক্ষা বিষয়েই নয় ভারতবর্ষের প্রত্যেকটা জনগোষ্ঠীর ভাষা, শিক্ষা আহার, পোশাক-পরিচ্ছদ, চাল-চলন, আচার-আচরণে যে স্বতন্ত্রতা রয়েছে, যে বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাকে বজায় রেখেই প্রত্যেকটি বিষয়ে নীতি নির্ধারণ করতে হবে৷ নতুবা একের আওয়াজ তুলে ভারতবর্ষের সকল জনগোষ্ঠীর ঘাড়ে হিন্দুস্থানী ভাষা ও সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি ইত্যাদি জোরপূর্বক চাপিয়ে দিতে গেলে হিতে বিপরীত হবে৷ যে অর্বাচীনের দল রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে একদিকে এক ভাষা নীতির, শিক্ষা নীতির আবাজ তুলছে, আবার রাজ্য ভাঙ্গার পরিকল্পনা নিচ্ছে, তাদের জেনে রাখা উচিত যে তাদের অজ্ঞতার কারণে রাজ্য নয়, ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে যাবে৷ তাই প্রাউট প্রবক্তার উপরোক্ত শিক্ষার মৌলিক তত্ত্বই ভারতবর্ষের ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করার একমাত্র পথ৷