ক্ষমতায় বসে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন---‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ৷’ কিন্তু সম্প্রতি অক্সফাম ইণ্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্যের করুণ চিত্রটি তুলে ধরেছে৷ বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অবস্থার সমীক্ষা চালায় অক্সফাম সংস্থা৷ অর্থনীতিবিদরা এদের অর্থনৈতিক সংক্রান্ত প্রতিবেদনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়৷
সম্প্রতি অক্সফাম ইণ্ডিয়া ‘টাইম টু কেয়ার’ নামে একটি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ দেশের দরিদ্রতম মানুষটি থেকে ধনীক সম্প্রদায় সব শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে অক্সফাম সমীক্ষা চালায়৷ তাদের সমীক্ষার বিষয় থাকে সব শ্রেণীর মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা, সম্পদের পরিমাণ, দরিদ্র দূরীকরণ প্রভৃতি৷ ‘অক্সফামের টাইম টু কেয়ার’ নামের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের হাতে যে সম্পদ রয়েছে তার চেয়ে চার গুণ বেশী সম্পদ আছে মাত্র ৬৩ জন ধনকুবেরের হাতে৷ এই প্রতিবেদনে আরও জানা যায় গত আর্থিক বছরের বাজেটের নির্ধারিত অঙ্কের সমান সেই সম্পদ৷
ভারতের জনসংখ্যা ১৩০ কোটি৷ সেই হিসাবে ৭০ শতাংশ হয় ৯১ কোটি৷ অর্থাৎ ৯১ কোটি মানুষের হাতে যে সম্পদ রয়েছে, তার ৪ গুণ বেশী সম্পদ রয়েছে মাত্র ৬৩ জনের হাতে৷ অর্থনীতির এই সীমাহীন বৈষম্য সামনে আসায় বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ শ্লোগানকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি৷
কিন্তু এই সীমাহীন বৈষম্য আর অর্থনীতির এই সঙ্কট থেকে পরিত্রাণের উপায় অর্থনীতিবিদদের হাতে নেই৷ গত কয়েক বছরে দেশের অর্থনীতির সূচক ক্রমশঃ নীচের দিকেই নামছে৷ এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ভূমিকায় কেউ সন্তুষ্ট নয়৷ সম্প্রতি শিল্পপতিদের সঙ্গে বাজেট প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়৷ সেখানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও অর্থমন্ত্রী নির্ম্মলা সীতারামণকে ডাকা হয়নি৷ তিনি অন্য কাজের অজুহাত দিলেও অর্থনীতি বিষয়ের ওপর আলোচনায় অর্থমন্ত্রীর না থাকাটা তাঁর প্রতি অনাস্থাই বোঝায়৷ অক্সফাম ইণ্ডিয়ার এক কর্মকর্তা অমিতাভ বেহার সরকারের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে বলেন, অর্থনৈতিক এই বৈষম্য কমার কোনও লক্ষণ নেই, বরং আরও বাড়বে৷
প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের মুখপাত্র বলেন---পুঁজিবাদ নির্ভর বহু দলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটা হওয়ারই কথা৷ অর্থনীতিবিদ্রা পুঁজিবাদের দাসত্ব ছেড়ে খোলা মনে আলোচনায় বসুন৷ শ্রদ্ধেয় শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব---প্রাউট এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ দেখাবে৷