ফলশাক বলতে বোঝায় যে গাছে ফুলের পর ফল আসে৷ কাঁচা–পাকা যে কোন রকমের ফল শরীরের পক্ষে ভাল৷ কারণ ফল নিজের রসে জীর্ণ হয়–হজমের জন্যে যকৃতের সাহায্য বেশী নিতে হয় না৷ অথচ ফল শক্তির যোগান দেয় যথেষ্ট৷
ফলের তালিকায় তৃতীয় স্থান আমের হলেও (প্রথম দু’টি–জাম আর শশা) আমকে রাখা হয় শীর্ষে, (কেন না) ফলটি অনেক গুণের আধার৷ আম টকই হোক, মিষ্টিই হোক, গলার নীচে নাবলেই সব আম সমান৷ যে আমের খোলা যত পাতলা, সে আম তত উন্নত৷ পাকা আম রক্তবর্ধক৷ হয়তো বা দাড়িম্বী (বেদানা–ডালিম) ব্যতিরেকে আর কোন ফলই এত রক্তের যোগান দেয় না৷ দ্বিপ্রহর বারটার পূর্বে এক বল্কা দুধের সঙ্গে পাকা আমের রস পান করলে রোগমুক্ত মানুষ অল্প সময়েই শক্তি ফিরে পাবে৷ অতি ক্ষৃদ্ধ বাদে সকল বয়সের মানুষ–বিশেষ করে অল্পবয়সী যুবক, এই আম্রদুগ্ধ পান করে প্রভূত শক্তির অধিকারী হয়৷ এটি কিন্তু উষ্ণবীর্য৷ তাই পেট যার খুব ভাল নয়, তার পক্ষে আম্রদুগ্ধ পান না করাই উচিত৷ ক্যালসিয়াম যথেষ্ট পরিমাণে থাকায় পেট ভাল থাকলে যক্ষ্মা রোগী আম্রদুগ্ধ পান করলে বিশেষভাবে উপকৃত হবে৷ অতিমাত্রায় পান করলে এটি (আম্রদুগ্ধ) মধুমেহ রোগ সৃষ্টি করে ও রক্ত সঞ্চালন ক্ষাড়িয়ে দিতে পারে৷ তাই একটু পরিমিত ভাবেই জিনিসটা ব্যবহার করা উচিত৷ অন্যথা শরীরের বিভিন্ন অংশে স্ফোটক সৃষ্টি হতে পারে আগের দিন রাত্রে আম জলে ডুক্ষিয়ে রেখে পরের দিন তা ব্যবহার করলে আম খাওয়ার অনেক অবাঞ্ছিত প্রভাব থেকে বাঁচা যায়৷
(শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘দ্রব্যগুণে রোগারোগ্য’ থেকে)