গত ২৫শে জুন উঃ২৪পরগণা বিরাটীর ‘মধুমালঞ্চ’ হলে ‘আমরা বাঙালী’ দলের বার্ষিক কেন্দ্রীয় কর্মী সম্মেলন ও বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল৷ সমগ্র বাঙালীস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিনিধি ও কর্মীবৃন্দ এই সম্মেলনে যোগদান করেন৷ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট আমরা বাঙালী নেতা ও প্রাউটিষ্ট শ্রীযুক্ত নরেশচন্দ্র রায় মহোদয়৷ সর্বপ্রথম প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন সভার সভাপতি৷ এরপর প্রভাত সঙ্গীত, ‘বাঙলার আমার দেশ....’ গানটি গেয়ে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা হয়৷ বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা৷ প্রতিবেদন পাঠের শুরুতেই একবছর সময়কালের মধ্যে যে সকল কর্মী-সদস্য প্রয়াত হয়েছেন ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক তথা দুর্ঘটনা জনিত কারণে যাঁরা পরলোক গমন করেছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়৷ শ্রী সিনহা একবছরের সাংঘটনিক কাজ ও কর্মসূচি তথা আগামী দিনের করণীয় কর্তব্যের বিস্তারিত বিবরণ সচিবের প্রতিবেদনে তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, বাঙলা ও বাঙালীর উপর যে ধারাবাহিক বঞ্চনা নিপীড়ন চলে আসছে, আর বিভিন্ন অজুহাতে বাঙলাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে বাঙালী জাতির সর্বনাশ করার ষড়যন্ত্র চলছে তার বিরুদ্ধে সমগ্র বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে সামিল হতে হবে৷ সমস্ত দলাদালি, ভেদাভেদ ভুলে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতেই হবে---নাহলে বাঙালী জাতির অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে যাবে৷ আগামী ১৮ই জুলাই, জি.টি.এ বিরোধী দিবসের অনুষ্ঠানে শিলিগুড়িতে বিশাল জনসমাবেশ করার আহ্বান জানান ও সমস্ত বাঙালী ভাইবোনকে অংশগ্রহণ করে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হতে ডাক দেন৷ বাঙালীস্তানের বিভিন্ন প্রতিনিধিগণ প্রতিবেদনের উপর আলোচনায় যোগ দিয়ে বক্তব্য পেশ করেন৷ সবশেষে সভাপতি মহোদয়ের মূল্যবান বক্তব্যের পর সভার কাজ সমাপ্ত হয়৷ পরবর্তী পর্যায়ে অপরাহ্ণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে বিরাটী স্টেশন চত্বরে পৌঁছে সদস্য সদস্যাগণ পথসভা যোগদান করেন৷ পথসভায় বক্তারা আমরা বাঙালী সংঘটনের উদ্দেশ্য ও আন্দোলন সম্পর্কে বিস্তৃত ব্যাখ্যা করেন৷