‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে ১২ই ফেব্রুয়ারী ‘‘নীলকন্ঠ দিবস’’ স্মরণ করা হল ২নং বল্লভ স্ট্রীটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে৷ মহানপুরুষ নীলকন্ঠ প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পনের মধ্যে দিয়ে স্মরণ সভার সূচনা হয়৷ পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সচিব মোহন অধিকারী প্রভাত সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠান এগিয়ে চলতে থাকে৷ এদিন নীলকন্ঠ দিবস সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের নেতৃবৃন্দ৷
স্মরণ সভায় তপোময় বিশ্বাস বলেন---‘বিশ্বের বিষরাশি কন্ঠে নিয়ে অমর হয়েছ গুণে আপনার’---১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী মানব ইতিহাসে এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিন৷ এই দিনেই তৎকালীন কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধীর ভারত সরকার মিথ্যে মামলায় অভিযুক্ত করে পটনার বাঁকীপুর সেন্ট্রাল জেলে মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ওপর তীব্র বিষ প্রয়োগ করে৷ শ্রীসরকার তাঁর দৈববলে, ঐশ্বরিক ক্ষমতায় সেই বিষ কন্ঠে ধারন করে নীলকন্ঠী হয়ে ভূলুণ্ঠিত মানবতার রক্ষা করেন৷
কেন এই বর্বরতা? শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক তত্ত্ব ‘প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব’ সংক্ষেপে প্রাউট ... এই দর্শনের অভ্যুত্থান স্বৈরাচারী শোষণবাদী কর্র্পেরেট ও তাদের সাগরেদ শাসক ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সঞ্চার করে৷ এই অবস্থায় তারা চায় প্রাউট ও তার প্রবক্তাকে পৃথিবীর বুক থেকে চিরবিদায় করতে৷
এই ১২ই ফেব্রুয়ারী প্রাউটের উপর আধারিত ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নীলকন্ঠ দিবস স্মরণ করা হয়৷