আনন্দনগরে বাবারস্মৃতি সৌধের নিকটে নদীতে চেক ড্যাম
আনন্দনগরের বাবা’র স্মৃতি সৌধের পাশে গুয়াই (দক্ষিণা) নদীর ওপর আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূতের পরিচালনায় একটি চেকড্যাম তৈরীর কাজ চলছে৷ এটিতে ব্যয় হবে এককোটি টাকা৷ এখন পর্যন্ত ৩৫ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে৷ আগামী বর্র্ষর পূর্বে চেক ড্যামের কাজ সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা আছে৷ কিন্তু এখনও অনেক টাকার প্রয়োজন৷ এই জনকল্যাণ মূলক কাজে উদার হস্তে সাহায্যের জন্যে আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দজী সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন৷
জন্ম দিবস পালন ও কম্বল বিতরণ
নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ ৯ই ফেব্রুয়ারী তারিখে চিৎমু গ্রামের বিশিষ্ট মার্গী ভাই চক্রধর কালিন্দীর বাড়ীতে তিনঘন্টাব্যাপী কীর্ত্তনের মাধ্যমে কালিন্দীর পৌত্র চৈতন্যময়ের জন্মদিবস পালন করা হল৷ আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত, চক্রধর কুমার ও ধনঞ্জয় মাহলী কীর্ত্তন পরিচালনা করেন৷ বহুমার্গী ভাই-বোন, পাড়া প্রতিবেশীর জনসমাগমে এই অখন্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হল৷ আচার্য দেবপ্রেমানন্দ অবধূত স্বাধ্যায় পাঠ করেন৷ বক্তব্য রাখেন রেকটার মাষ্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত, আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ সুমিতা আচার্যা৷ গরীব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মধ্যে ২০জনকে কম্বল বিতরণ ও দুইশতাধিক মানুষকে নারায়ণসেবায় আপ্যায়িত করা হয়৷
গৃহপ্রবেশ
১১ই ফেব্রুয়ারী ঃ চিৎমুগ্রামে শ্রীপ্রয়াগচন্দ্র গঁরাই ও শ্রীমতি দময়ন্তি গরাই এর নবনির্মিত বাড়িটির গৃহ প্রবেশ আনন্দমার্গের চর্র্যচর্য মতে অনুষ্ঠিত হ’ল৷ ৩ ঘন্টা ব্যাপী অখন্ড কীর্ত্তন, গুরুপূজা ও সাধনার পর আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত এই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন ৷ আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত গৃহপ্রবেশ সম্বন্ধে বক্তব্য পেশ করেন৷ অবধূতিকা আনন্দ সুমিতা আচার্যা নারীজাতির জাগরণ ও মর্র্যদা সম্বন্ধে বলেন৷ উমা নিবাসের হষ্টেল ও হাইস্কুলের মেয়েরা প্রভাত সঙ্গীতের গৃহপ্রবেশের গানটি গেয়ে শোনায়৷ আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ সবশেষে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়৷ নোতুন বাড়িটির নামকরণ করা হল ‘মধুকুঞ্জ’৷
নীলকণ্ঠ দিবস
১২ই ফেব্রুয়ারী ২০১৮ তারিখে বাবার বাড়ি ‘মধুমূর্চ্ছনা’ আনন্দনগর বেলামু পাহাড়ের সন্নিকটে নীলকন্ঠ দিবসটি মাহধূমধামের মধ্যে পালন করা হল৷ ৩ ঘন্টা ব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহানাম মন্ত্রের অখন্ড কীর্ত্তনে এলাকার আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠল৷ বিভিন্ন কীর্ত্তন টিম যেমন উমানিবাসের ছাত্রা ও দিদিরা, চক্রধর কুমার-ধনঞ্জয় মহালীর টিম ও চিৎমু কীর্ত্তন টিম কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করে৷ আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত টিমগুলি পরিচালনা করেন৷ স্বাধ্যায় পাঠ করেন আচার্য দেবপ্রেমানন্দ অবধূত৷ নীলকন্ঠ দিবস সম্বন্ধে বক্তব্য রাখেন আচার্য নারায়নানন্দ অবধূত, আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ সুমিতা আচার্যা৷ শেষে ৫০০ জনের মতো নারায়ণসেবা করানো হল৷
সমস্ত অনুষ্ঠানটির উদ্যোক্তা হিসেবে ছিলেন আচার্য দিব্যপ্রকাশানন্দ অবধূত৷
শিবচতুর্দশী উৎসব
গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী সারা দেশে মহাসম্ভূতি ভগবান সদাশিবের পূজা-আরাধনা হয়৷ সেই সঙ্গে পশ্চিম রাঢ়ের আনন্দনগর পূর্বপ্রত্যন্তের ডিমডিহা হিলে আর এক মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর নিবাসস্থলে এই দিনটিকে মহাসমারোহে পালন করা হয়৷ এদিন মার্গের সন্ন্যাসীও অন্যান্য আনন্দমার্গীরা প্রভাত সঙ্গীতে ‘শিবগীতিগুলি’ সমবেতভাবে গাইতে থাকেন ও তারপর ‘বাবা নাম র্কেলম্’ অখন্ড কীর্ত্তনে আকাশ বাতাস মুখরিত করতে থাকেন৷ এরপর বিশিষ্ট আনন্দমার্গী সত্যনারায়ণ নায়েক ও অন্যান্য সন্ন্যাসীরা ধর্ম আলোচনা করেন৷ এরপর সকলের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷
২০ শে ফেব্রুয়ারী তারিখে চিৎমু গ্রাম নিবাসী শ্রী প্রেমচাঁদ গরাঁই-এর-পুত্র শুভদীপ গঁরাই-এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ৩ ঘন্টা ব্যাপী অখন্ড কীর্ত্তনে নেতৃত্ব দেন আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত৷ বক্তব্য রাখেন আচার্য নারায়ণনন্দ অবধূত৷ এরপর যথারীতি প্রীতিভোজে সুস্বাদু স্বাত্ত্বিক আহার পরিবেশন করা হয়৷
আনন্দনগরে চক্ষু অপারেশন ক্যাম্প
নিজস্ব সংবাদাতা ঃ গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী আনন্দনগরে আনন্দমার্গ আভা মেমোরিয়্যাল চ্যারিটেবল হাসপাতালে আনন্দমার্গের চিকিৎসা বিভাগের তরফ থেকে চক্ষু অপারেশন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়৷ এতে ১৭০ জনের চক্ষু অপারেশন করা হয়৷ এই চক্ষু অপারেশন ক্যাম্প পরিচালনা করেন আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত৷