গত ২১শে জুন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কর্মী ও সদস্যরা বিশ্বের সর্বত্র আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করেন৷ ঐ দিন মূল অনুষ্ঠান হয় আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কলিকাতা কেন্দ্রীয় আশ্রম তিলজলা ভি.আই.পি নগরে৷ এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন কলিকাতা সাহিত্য একাডেমীর আঞ্চলিক সম্পাদক ডঃ দেবেন্দ্রকুমার দেবেশ৷ প্রধান অতিথির ভাষনের মূল বিষয় ছিল যোগ সাধনা ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বহুবিধ অবদান৷
অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিবেশিত হয় প্রভাত সঙ্গীত৷ বিশিষ্ট যোগ প্রশিক্ষক শ্রী বিভাংশু মাইতি, তাণ্ডব ও কৌশিক নৃত্য প্রদর্শন করেন৷ আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত মানব জীবনে যোগের গুরুত্ব বিষয়ে বলেন৷ তিনি বলেন শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তাঁর দর্শনে মানুষের ত্রিবিধ অস্তিত্ব বিষয়ে বলেছেন---শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক৷ যোগ মানে কেবল আসন নয়, যোগের অর্থ ঈশ্বরের সাথে একইকরণ হয়ে যাওয়া৷ তিনি যোগের তিনটি সংজ্ঞা ব্যাখ্যা করেন৷ পতঞ্জলির মতে সমস্ত প্রবৃত্তির অবসান হল যোগ৷ যোগের দ্বিতীয় ব্যাখ্যা সমস্ত উদ্বেগ থেকে মনকে মুক্ত রাখাই হল যোগ৷ কিন্তু যোগের আসল অর্থ হল--- জল ও চিনির মতো একইকরণ৷ চিনি যেমন জলের মধ্যে মিশে গিয়ে নিজের পৃথক অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে৷ তেমনি যোগ হল সাধনার দ্বারা মানুষের মন ভূমা-মনের সাথে মিলেমিশে এক হয়ে যাওয়া৷ তাই যোগ কেবল আসন নয়, যোগ হল সাধনা৷ অনুষ্ঠানের শেষে শ্রীবিভাংশু মাইতি কয়েকটি আসন প্রদর্শণ করেন৷ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কার্যালয় সচিব আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা৷
এছাড়া ওড়িষা, ঝাড়খণ্ড সহ ভারতবর্ষের প্রতিটি রাজ্যেই আনন্দমার্গের কর্মীর সমর্থকরা আসন ও আলোচনা সভার মাধ্যমে যোগ দিবস পালন করে৷ বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও আনন্দমার্গীরা যোগ দিবস পালন করেন৷
পটনায় কলেজ অব কমার্স আর্টস এ্যাণ্ড সায়েন্স বিভিন্ন গণসংঘটনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করা হয়৷ উক্ত অনুষ্ঠানে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়৷ আনন্দমার্গের পক্ষ থেকে আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷ তিনি আনন্দমার্গ দর্শনের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকৃত যোগের ব্যাখ্যা করেন ও বলেন যোগ সাধনার মাধ্যমে মানুষের শারীরিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশ সম্ভব৷