আনন্দমার্গের অখন্ডকীর্ত্তন  ও সমাজসেবা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ময়ূরভঞ্জ ঃ গত ১৭ই জুন  ময়ূরভঞ্জের  ঠাকুরমুন্ডা ব্লকের  গিরিধারা গ্রামে  আনন্দমার্গের  পক্ষ থেকে  অখন্ড কীর্ত্তন ও সমাজসেবার  বিশেষ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়৷

অখন্ড কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য ব্রতনিষ্ঠানন্দ অবধূত৷ অখন্ড কীর্ত্তনের পর যথারীতি মিলিত সাধনা, ধর্মসভা ও নারায়ণসেবার  আয়োজন করা হয়৷ এর পাশাপাশি বিনাব্যয়ে চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন  করা হয়  ও ডাঃ যুধিষ্ঠির মোহান্ত ও ডাঃ সুমন্ত মাহাত দুঃস্থ রোগীদের  ফ্রি চিকিৎসা করেন  ও বিনাব্যয়ে  তাদের  ওষুধপত্রও দেন৷ এইভাবে গ্রামের  শতাধিক  দুঃস্থ রোগীর সেবা করা হয়৷

খেড়ুয়া ঃ বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া ব্লকের  খেড়ুয়াতে  গত ১০ই মে  ৩ঘন্টা ব্যাপী  ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখন্ড নামসংকীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়৷

এই কীর্ত্তনের আয়োজন করেন রবীন্দ্রনাথ গড়াই, কীর্ত্তন  পরিচালনায় করেন মানবেন্দ্র নাথ ঘোষাল৷ বীরভূম জেলার বিভিন্ন স্থান  থেকে বহু আনন্দমার্গী এই অখন্ড কীর্ত্তনে যোগদান করেন৷ কীর্ত্তনের  মিলিত সাধনা ও গুরুপূজার পর  মার্গগুরুদেবের পুস্তক থেকে স্বাধ্যায় করে শোনান জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রীকেশব সিনহা৷

ধর্মসভার আয়োজন করা হয়৷  ধর্মসভায়  সাধনা,ভক্তিতত্ত্ব ও কীর্ত্তন মাহাত্ম্যের ওপর বক্তব্য রাখেন শ্রী অনন্ত মালকার ও শ্রী মহাদেব সেন৷

তাঁরা বলেন, আধ্যাত্মিক সাধনা প্রতিটি মানুষের  অবশ্য করণীয়৷ আর আধ্যাত্মিকতার মূল কথা হল ঈশ্বরভক্তি৷ ভক্তিই হ’ল মানব জীবনের  সবচেয়ে বড় সম্পদ৷ আর প্রাণ খুলে কীর্ত্তন ভক্তিলাভের শ্রেষ্ঠ উপায়৷

ধর্মসভার পর যথারীতি নারায়ণ সেবারও আয়োজন করা হয়৷ পাশাপাশি এক চিকিৎসা  শিবিরেরও আয়োজন করা হয়৷  এই চিকিৎসা শিবিরে গ্রামের দুঃস্থ মানুষদের বিনাব্যয়ে চিকিৎসা করা হয় ও তাদের ফ্র্রি ওষুধও দেওয়া হয়৷ চিকিৎসক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ  বিপ্লব দেব৷

এছাড়া ভোলানাথ  দাস মহাশয় ২০০ জন দুঃস্থ গ্রামবাসীকে বস্ত্রদান করেন৷ এই সমস্ত সেবা কাজে  সহযোগিতা করেন শ্রী প্রদীপ গড়াই৷