সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় সরকারী কর্মীরা আনন্দমার্গের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না৷ ১৯৬৬ সালে,১৯৭০ সালে ও ১৯৮০ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার সরকারী কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে জানায় আর.এস.এস আনন্দমার্গ ও আরও কয়েকটি সংস্থার কার্যক্রমে সরকারী কর্মীরা যুক্ত থাকতে পারবে না৷ কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার তাদের অনুগত আর.এস.এস-এর ওপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে৷ কিন্তু আনন্দমার্গ অন্যান্য সংঘটন বিষয়ে কোন কথা উল্লেখ ছিল না বিজ্ঞপ্তিতে তাই কোন কোন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় আনন্দমার্গের কার্যক্রমে সরকারী কর্মীরা অংশ নিতে পারবে না৷ কারণ আর.এস.এস-এর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও আনন্দমার্গের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে৷
এ বিষয়ে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় জন-সংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত এক প্রেস বিবৃতিতে জানান কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৭০ সালে আনন্দমার্গের ওপর ও রাজ্যসরকার ১৯৮১ সালে আনন্দমার্গের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়৷ দীর্ঘ শুনানির পর ১৯৯৬ সালে সুপ্রিমকোর্ট তার রায়ে জানিয়ে দেয় আনন্দমার্গ ধর্মীয় সংঘটন হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের জন্যে নির্দিষ্ট ৫ নম্বর বিধির আওতায় পড়বে না৷ অর্থাৎ আনন্দমার্গ ৫নং ধারার আওতায় থাকা রাজনৈতিক সংঘটন না হওয়ায় আনন্দমার্গের কার্যক্রমে সরকারী কর্মীদের অংশ নিতে কোন বাধা থাকবে না৷ তাই আনন্দমার্গের কাজকর্মে যোগ দিতে সরকারী কর্মীদের কোন বাধা নেই৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে সেই সময় বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানান হয়৷