অখণ্ড কীর্ত্তন
ঝাড়গ্রাম গত ২৫, ২৬শে জুন ঝাড়গ্রাম জেলার গড়মোহন গ্রামে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়খণ্ড জেলার বহু আনন্দমার্গী সহ স্থানীয় ভক্তবৃন্দ এই কীর্ত্তনে যোগদান করেন৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত ধ্যান ও গুরুপূজা অনুষ্ঠিত হয়৷ স্বাধ্যায় করেন অবধূতিক আনন্দ অন্বেষা আচার্যা৷ আনন্দমার্গের দর্শন ও আদর্শ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য কল্পনাথানন্দ অবধূত ও আচার্য নিত্যতীর্থানন্দ অবধূত৷
আনন্দমার্গের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১২ জন দীক্ষা গ্রহণ করেন৷ সবার শেষে সদাব্রত অনুষ্ঠানে সবাইকে আপ্যায়িত করা হয়৷
ময়ূরভঞ্জে অখণ্ড কীর্ত্তন
ময়ূরভঞ্জ ঃ ময়ূরভঞ্জ জেলার উষণী ব্লকের সোনয়া গ্রামে গত ৭ই জুন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবানাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অখণ্ড কীর্ত্তনের পর আচার্য ব্রতনিষ্ঠানন্দ আনন্দমার্গের সাধনা ও ভক্তিতত্ত্বের ওপর আলোচনা করেন৷
পাশাপাশি এখানে এইদিন সারাদিন ধরে চিকিৎসা শিবিরেরও আয়োজন করা হয়৷ এই চিকিৎসা শিবিরে বিনা ব্যায়ে দেড় শতাধিক দুঃস্থ রোগীর চিকিৎসা করা হয় ও বিনা ব্যায়ে ওষুধও দেওয়া হয়৷ ডঃ কৌষিক দে ও যুধিষ্ঠির মাহাত বিনা পারিশ্রমিকে চিকিৎসা করেন৷
কীর্ত্তন শেষে নারায়ণ সেবার অনুষ্ঠানে সমস্ত ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷
বীরভূমের কীর্র্ণহারে আনন্দমার্গের সমাজ শাস্ত্রানুসারে অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠান
বীরভূম: গত ৭ই জুন বুধবার বীরভূম জেলার কীর্ণহারে বিশিষ্ট প্রবীণ আনন্দমার্গী শ্রী অনন্ত মালাকারের বাসগৃহে প্রভাত সঙ্গীত, ‘‘াা নাম কেবলম্’’ কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, গুরুপূজার পর শ্রী অনন্তমালাকার-এর পুত্র অনুপ মালাকার ও পুত্রবধূ মিতালী মালাকারের কন্যা-সন্তানের নামকরণ ও অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ নামকরণ অনুষ্ঠাটির পৌরোহিত্য করেন আচার্য মিতাক্ষরানন্দ অবধূত৷ সকলে মিলিতভাবে এই শিশুর নাম রাখেন ‘‘ স্মৃতিসুধা’’৷ অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন মানবেন্দ্র ঘোষাল, কেশবচন্দ্র সিন্হা,অবধূতিকা আনন্দপ্রজ্ঞা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দতন্ময়া আচার্যা৷ নামকরণ ও অন্নপ্রাশনের ওপর বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট প্রবীণ আনন্দমার্গী শ্রী সনৎ দে৷
পাঁশকুড়া : গত ২রা জুলাই পাঁশকুড়া বাকুলাতে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী অলকেশ বেরার বাসভবনে ‘াা নাম কেবলম’ মহামন্ত্রের কীর্ত্তন ও কীর্ত্তন শেষে একটি তত্ত্বসভার আয়োজন করা হয়৷ এই তত্ত্বসভায় আচার্য রবীশানন্দ অবধূত মানবজীবনে সাধনার প্রয়োজনীয়তা ও আদর্শ মানুষের জীবনচর্র্য বিষয়ে আলোকপাত করেন৷ তিনি বলেন সাধনা শরীর ও মনকে যেমন সুস্থ রাখে, চাপ বা ষ্ট্রেস থেকে মনকে মুক্ত রাখে, তেমনি সাধনার দ্বারা মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতি ঘটে৷ প্রকৃত আধ্যাত্মিক উন্নতি হলে মানুষ মনের সমস্ত রকম সংকীর্ণ চিন্তা থেকে মুক্ত হয়, তখন তার কাছে জগতের সবাই আপন৷ সমস্ত মানুষ তো বটেই পশুপক্ষী তরুলতাকে সে ভালোবাসে৷ আজকের সমাজে যে জাতিগত বা সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে, এর সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার বিন্দু মাত্র সম্পর্ক নেই৷
আচার্য রবীশানন্দজীর বক্তব্যের পর উপস্থিত সকলে আধ্যাত্মিকতা তথা যোগ সাধনা কিভাবে করতে হয় তা জানবার জন্যে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেন৷
সুরানানকারে তত্ত্ব সভা
পাঁশকুড়া: গত ৪ঠা জুলাই সুরানানকারে আনন্দমার্গের স্কুলের নিকটে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী বিশ্বজিৎ সামন্তের বাসভবনে ‘‘ প্রভাত সঙ্গীত , কীর্ত্তন পরিবেশন ও তত্ত্বসভার আয়োজন করা হয়৷ তত্ত্বসভা, যোগসাধনা ও ঈশ্বরতত্ত্বের ওপর বক্তব্য রাখেন শ্রী পার্থসারথী পাল, শ্রী সুভাষ পাল প্রমুখ৷
অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশন করেন অবধূতিকা আনন্দ সূধাকল্প আচার্যা৷
শিউড়ি আম্রপালনে আনন্দমার্গের মাস্টার ইউনিটে তত্ত্বসভা
শিউড়ি : গত ১১ই জুন রবিবার শিউড়ি আনন্দমার্গের মাস্টার ইউনিট ‘‘আম্রপালন’’--- এ প্রভাত সঙ্গীত ও মানব মুক্তির মহামন্ত্র ‘াা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, গুরুপূজা, স্বাধ্যায-এর পর শুরু হয় তত্ত্বসভা৷ তত্বসভায় বক্তা ছিলেন আনন্দমার্গের বিশিষ্ট প্রবীণ সদস্য শ্রী কেশবচন্দ্র সিন্হা৷ আলোচনার বিষয় ছিল ‘‘প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব’’৷ এই তত্ত্বসভায় পঞ্চাশ জন আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন ৷ তাঁরা এই তত্ত্বসভায় গুরুত্ব সম্পর্কে ভূয়সী প্রশংসা করেন৷
শিলদায় অখণ্ড কীর্ত্তন
মেদিনীপুর ঃ গত ৪ ও ৫ জুলাই শিলদা আনন্দমার্গ স্কুল ভবনে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অখণ্ড কীর্ত্তনে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে আনন্দমার্গীরা যোগদান করেন৷ অখণ্ড কীর্ত্তনের পর মিলিত সাধনান্তে সাধনা ও ভক্তিতত্ত্বের ওপর আলোচনা করেন আচার্য নিত্যতীর্থানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ শতদীপা আচার্যা, সুনীল সাধু প্রমুখ৷ সবশেষে অনুষ্ঠিত নারায়ণ সেবায় সাত শতাধিক ভক্তের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷ আনন্দমার্গের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বেশ কয়েকজন সাধনাও শেখেন৷ অনুষ্ঠানটির আয়োজন ও পরিচালনায় ছিলেন শিলদা আনন্দমার্গ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনীল সাধু ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ৷