শ্রাবণী পূর্ণিমা আনন্দমার্গের ইতিহাসে একটি মহত্ত্বপূর্ণ দিন৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের স্থাপনা হয় ১৯৫৫ সালে বিহারের মুঙ্গের জেলার রেলওয়ে শহর জামালপুরে৷ সংঘ প্রবর্তক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তার প্রস্তুতি শুরু করেন ১৯৩৯ সালের এই শুভদিনে৷ তিনি তখন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র৷ কলকাতার গঙ্গাতীরে কাশীমিত্র ঘাটে সন্ধ্যায় সেই সময়ের কুখ্যাত কালি ডাকাত তথা কালিচরণ বন্দোপাধ্যায়কে আধ্যাত্মিক দীক্ষার মাধ্যমে তাঁর (কালিচরণ) জীবনের আমূল পরিবর্তন করেন৷ পরবর্তীকালে যিনি কালিকানন্দ অবধূত নামে পরিচিত হন৷ ছাত্র শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার ধরাপৃষ্টে প্রথম আধ্যাত্মিক দীক্ষার বীজ বপনের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক গুরু হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন ও আনন্দমার্গ ভক্তবৃন্দের কাছে আনন্দমূর্ত্তি রূপে প্রতিভাত হন৷ সাড়ে সাত হাজার বছর আগে তারকব্রহ্ম সদাশিবের নির্দেশিত সাধনা পদ্ধতি বিবর্তিত হতে হতে আজ থেকে প্রায় বারশো বছর আগে সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়ে যায়৷ আনন্দমূর্ত্তিজী বারশ বছর পর সেই বিলুপ্ত সাধনা পদ্ধতিতে শক্তিসম্পাতের দ্বারা নতুনভাবে বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে তথা সমগ্র মানব সমাজের কল্যাণের জন্যে যুগ-উপযোগী ও সহজসরলভাবে সর্বসাধারণের মানসাধ্যাত্মিক অনুশীলনের ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন৷ আনন্দমার্গের এই আধ্যাত্মিক অনুশীলন প্রক্রিয়াকে ‘রাজাধিরাজ যোগ’ বলা হয়৷
৩০শে আগষ্ট,২৩ শ্রাবণী পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে আনন্দনগর বকুল বিতান আশ্রমে তিনঘন্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, স্বাধ্যায়, শ্রাবণীর পূর্ণিমার তাৎপর্য ব্যাখ্যা ও নারায়ণসেবার মাধ্যমে পালিত হয়৷