আনন্দমার্গীয় বিধিতে বিবাহানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মেদিনীপুর ঃ গত ১০ই জুন সবং-এর রাখিল্লা গ্রামে আনন্দমার্গীয় সমাজ শাস্ত্রানুসারে এক বৈপ্লবিক বিবাহানুষ্ঠান হয়৷ এই বিবাহে পাত্রী ছিলেন এই গ্রামের শ্রী শিবরাম রায়  ও শ্রীমতি রীনা রায়-এর-কন্যা কল্যাণীয়া পিঙ্কি রায়৷ আর পাত্র হলেন কলকাতার গড়িয়া নিবাসী শ্রী অংশুমান চৌধুরী  ও শ্রীমতী লক্ষ্মী চৌধুরীর পুত্র রামকৃষ্ণ চৌধুরী৷ পণপ্রথাসহ সমস্ত কুসংস্কারমুক্ত এই বিবাহানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন পাত্রপক্ষে আচার্য দেবাত্মানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা আনন্দকরুণা আচার্যা৷

এই বিবাহের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরান্দ অবধূত৷ তিনি বলেন, আনন্দমার্গ সমস্ত প্রকার কুসংস্কার  থেকে মুক্ত সমাজ গড়তে চায়৷ আনন্দমার্গ পণপ্রথা, জাত-পাত সম্প্রদায়ের  বিভেদ মানে না ৷ আনন্দমার্গ বলে, মানব সমাজ  এক ও অবিভাজ্য৷  আমাদের সমাজে প্রচলিত বিবাহ-ব্যবস্থায় নারী  অধিকার  বা নারী স্বাধীনতা মানা হয় না৷ তাই প্রচলিত বিবাহ-ব্যবস্থায় ছেলেরাই মন্ত্র উচ্চারণ করে , মেয়েরা নয়৷ কন্যাকে একটা পিঁড়িতে বসিয়ে মেয়ের  অভিভাবক  পাত্রকে দান করেন৷ এ যেন কোনো একটা বস্তু কাউকে দান করা হচ্ছে৷ নারীর যেন কোনো স্বাধীনতাই  নেই৷ আনন্দমার্গীয় বিবাহ পদ্ধতিতে বেদমন্ত্র উচ্চারণ করার পর  পাত্র ও পাত্রী উভয়েই মাতৃভাষার বিবাহের মন্ত্র পাঠ করে, যাতে উভয়েই এই অর্থও সম্যকভাবে উপলদ্ধি করতে পারে৷

এই অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তনানুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য সেবাব্রতানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা  আনন্দ অভীষা  আচার্যা৷