আনন্দনগরে ত্রি-দিবসব্যাপী ধর্ম মহাসম্মেলনে তিনদিনই সন্ধ্যায় প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাওয়া শিল্পী প্রভাতসঙ্গীত, প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য, নৃত্য-গীতি আলেখ্য ও নৃত্যনাট্য পরিবেশন করে অপূর্ব আনন্দময় পরিবেশ রচনা করে দর্শকদের মুগ্দ করেন৷
‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সব কিছু করে যায়’’---এই প্রভাত সঙ্গীতটি দিয়ে সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়৷ এটি পরিবেশন করেন আনন্দমার্গের ব্রহ্মচারিগণ৷ এরপর সঙ্গীত পরিবেশন করেন উমানিবাসের মেয়েরা ঃ ‘আলোকের এই উৎসবে’৷
আরও যারা প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন অনুপম দাস, মানস মন্ডল,অরিন্দম চ্যাটার্জী,সুচরিতা মাইতি প্রমুখ৷ নৃত্য পরিবেশন করেন বকুল বিতান সঙ্গীত বিদ্যালয়ের শিল্পীগোষ্ঠী, রামপুরহাট রাওয়া শিল্পীগোষ্ঠী প্রমুখ৷
প্রথম দিনের সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানের মুখ্য আকর্ষণ ছিল শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর নব্যমানবতাবাদী শিক্ষাদর্শের ওপর আধারিত নৃত্যনাট্য ‘‘আমরা গড়ে নোবো গুরুকুল’’৷ গ্রন্থনায় আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত, পরিবেশনায় উমানিবাস গার্লস্ হাইস্কুলের মেয়েরা৷
দ্বিতীয় দিনে , প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন আচার্য সুদত্তানন্দ অবধূত, আচার্য সেবাব্রতানন্দ অবধূত, আচার্য শুভপ্রসন্নানন্দ অবধূত প্রমুখ৷
এছাড়াও প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন দেবাংশু চক্রবর্তী, মানস ভট্টাচার্য প্রমুখ৷ নৃত্য পরিবেশন করেন বকুল বিতান সঙ্গীত বিদ্যালয়ের শিল্পীগোষ্ঠী ও উমানিবাস চিল্ড্রেন্স হোমের মেয়েরা৷ এদিনকার বিশেষ আকর্ষণ ছিল প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য---গীতি আলেখ্য ‘‘ঋতু কি বাহার লেকর আঈ হ্যায় সৌন্দর্য কি মূর্ত্তি৷’’ এটির গ্রন্থনায় ছিলেন বকুলচন্দ্র রায়, নৃত্য পরিকল্পনায় গার্গী বিশ্বাস,পরিবেশনায় স্বপ্ণা মাহাত, ইপ্সিতা মাহাত, সিমজা চক্রবর্তী, জয়শ্রী, শিল্পী, প্রিয়া, বিদ্যুৎ, বৈশালী প্রমুখ৷ এটির রূপসজ্জা ও অঙ্গসজ্জায় ছিলেন দুর্র্ব মাহাত, মঞ্চ সজ্জায় তুহিন বিশ্বাস৷
তৃতীয় দিনে, সমবেত প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন আনন্দমার্গের সন্ন্যাসী দাদারা, এছাড়া একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন আচার্য দীপাঞ্জনান্দ অবধূত, উমানিবাসের বীথিকা দেব, দেবাংশু সিন্হা ও সাথী পাত্র প্রমুখ৷ এদিনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল আচার্য হরাত্মানন্দজী রচিত নৃত্যনাট্য ‘‘ভোরের পাখি’’৷ নৃত্যনাট্যটি পরিচালনায় ছিলেন আচার্য সত্যসাধনানন্দ অবধূত ও পরিবেশনায় ছিল দধীচি হোষ্টেলের ছাত্রবৃন্দ৷