১৯৮৭ সালে যার শুভযাত্রা হয়েছিল তা ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত হ’ল৷ আমরা এবারে ৩১তম বার্ষিক কপিল স্মৃতি উৎসব উদ্যাপিত করছি৷ নানা প্রকার বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এটি পালিত হচ্ছে৷ পাটিঝালদা নামক গ্রামে মহর্ষির জন্ম৷ ধ্যানমগ্ণ হয়েছিলেন কপিলা পাহাড়ের এক গুহাতে৷ যেটি ছিল বহু জন্তু-জানোয়ার, পশুপাখীর কলতানে মুখরিত এক গুরুগম্ভীর শান্তস্নিগ্দ মহা পবিত্র স্থান৷ এই দিনটিতে আনন্দনগরেরর ও ঝালদা ব্লকের মার্গের সদস্যদের নিয়ে একটি লোকাল কমিটি তৈরী করা হ’ল৷ ঝালদা ডিটের ভুক্তিপ্রধান রতনচন্দ্র মাহাত, প্রহ্লাদ মাহাত, নিরঞ্জন মাহাত, পরমেশ্বর মাহাত, সণ্টি পাল ও আনন্দনগরের চেয়ারম্যান আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত সকলের সম্মতিক্রমে এই কমিটি তৈরী করা হয়৷ ১৪ই জানুয়ারী মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ঝালদা আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলে কীর্ত্তন, সাধনা করে মার্গী ভাইবোনেরা সকলে মিলে ‘বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন করতে করতে কপিলমুনির ধ্যানপীঠে উপস্থিত হয়ে সাধনা পূজাপাঠ সেরে কপিল মুনির স্মৃতিচারণ করা হয়৷ স্মৃতিচারণ করেন যথাক্রমে আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত, আচার্য ধ্যানাত্মানন্দ অবদূত, আচার্য যোগাত্মানন্দ অবধূত, আচার্য শুভপ্রসন্নানন্দ অবধূত, প্রহ্লাদ মাহাত প্রমুখ৷ কপিল মুনির আবির্ভাব পাট ঝালদায় আর সমাধি লাভ করেন গঙ্গাসাগরে৷ প্রহ্লাদ মাহাত মকর সংক্রান্তির গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করেন৷ তিনি বলেন, ১৯৮৭ সাল থেকে আচার্য কীর্ত্তানন্দ দাদা বাবার নির্দেশে পাট ঝালদায় কপিলমুনির স্মৃতিচারণ উৎসব পালন করেন৷ তাই প্রতি বছরের মত এবারও কীর্ত্তন, সাধনা, ধর্মালোচনা প্রভৃতির মাধ্যমে এখানে কপিল স্মৃতি উৎসব পালিত হয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি ভুক্তিপ্রধান রতনচন্দ্র মাহাত পরিচালনা করেন ও এই কপিল স্মৃতি উৎসব যাতে আরও বর্ণময় করে আগামী বছরগুলিতে পালন করা হয় তার অঙ্গীকার করে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করা হয়৷
সংবাদদাতা
আচার্য মোহনানন্দ অবধূত
সময়