আনন্দনগরে মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ ৯৭তম জন্মতিথি উৎসব মহাধূমধাম সহকারে পালিত হয়৷ অনুষ্ঠানটি হয় আনন্দনগর হাইসুকল প্রাঙ্গণে৷ ৯ই মে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ১২ ঘন্টা ব্যাপী অখন্ড কীর্ত্তণ অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ আনন্দনগরে আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের আনন্দমার্গী ভাই-বোনেরা ও আনন্দনগরবাসীরা এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন৷ সকাল ৬টা পর্যন্ত অখন্ড কীর্ত্তণ চলে৷ ৬-৭ মিনিটে মার্গগুরুদেবের জন্মক্ষণটি আনন্দমার্গীদের শঙ্খধবনি, উলুধবনি ও জয়ধবনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে৷ এরপর প্রভাত সঙ্গীত, মিলিত সাধনা ও গুরুপূজা অনুষ্ঠিত হয়৷ ও তারপর বিভিন্ন ভাষায় পরমারাধ্য ‘‘ৰাৰারবাণীপাঠ করা হয়৷ বাণী পাঠের ও ব্যাখ্যার পর আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত,আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত, ৰাৰার সঙ্গে নিজ নিজ অভিজ্ঞতার কথা শোনান৷ আচার্য মুক্তানন্দজী ‘‘ৰাৰা’’-র ওপর একটি স্বরচিত কবিতা ‘অদ্বিতীয়া’ আবৃত্তি করে শোনান৷ এরপর আনন্দমার্গের সূকলের ছেলেমেয়েদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ও পরে আচার্য নিত্যনবীনানন্দ অবধূতের পরিচালনায় ক্রিকেট খেলাও হয়৷ সকালে আচার্য চিরঞ্জয়ানন্দজীর নেতৃত্বে নগরকীর্ত্তণেরও ব্যবস্থা ছিল ৷ অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করে সবাইকে আনন্দ দেন৷ আচার্য শুভপ্রসন্নানন্দ অবধূত ও আচার্য শিবপ্রসন্নানন্দ অবধূত৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় করেন আচার্য প্রত্যগাত্মানন্দ অবধূত৷
এই অনুষ্ঠানে শেষে দুই শিশুর আনন্দমার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন ও নামকরণও হয়৷ প্রথম শিশুটির পিতা শ্রী মৃত্যুঞ্জয় কুমার৷ অনুষ্ঠান শিশুটির নাম রাখা হয় ‘বিভাস’৷ অন্য শিশুটি বিশিষ্ট আনন্দমার্গী চক্রধর কুমারের পৌত্র ও সন্দীপ কুমারের পুত্র৷ অনুষ্ঠানে এর নাম রাখা হয় ‘প্রভাত’৷ উভয়েই টাটুয়াড়া নিবাসী অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত৷ দুপুরে প্রায় আড়াই হাজার ভক্ত প্রীতিভোজে আপ্যায়িত হয়৷