আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের কেন্দ্রীয় কার্যালয় রাঢ় বাঙলার পুরুলিয়া জেলার আনন্দনগরে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর ১০১তম জন্মতিথি আনন্দপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে গত ২৭,২৮,২৯শে মে অনুষ্ঠিত হ’ল ধর্মমহাসম্মেলন৷ তিনদিনের এই ধর্ম মহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ও বহির্ভারতেরও বিভিন্ন দেশ থেকে বহু ভক্ত মার্গী সমবেত হয়েছিল ডুংরি পাহাড় ঘেরা প্রকৃতির মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা আনন্দনগরে৷
সমবেত ভক্ত মার্গীদের উপস্থিতিতে ৭২ ঘন্টা ‘ৰাৰা নাম কেবলম্’’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷
তিনদিনের এই মহাসম্মেলনে মার্গগুরু দেবের প্রতিনিধি আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত প্রত্যহ দুইবেলা আনন্দমার্গ দর্শনভিত্তিক আধ্যাত্মিক ভাষণ দেন৷ তাঁর ভাষণের বিষয় ছিল সাধকের লক্ষ্য হবে পরমাত্মাকে লাভ করা৷ পরমাত্মাকে পেতে গেলে শুধু ধ্যান করলেই হবে না৷ সাধককে সমাজের কল্যাণের জন্যেও কাজ করতে হবে৷ সমাজে দুঃস্থ মানুষের দিকে সেবার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে৷ জ্ঞানচর্চাও করতে হবে৷ আত্মজ্ঞানই প্রকৃত জ্ঞান৷ তিনি বলেন সেবা মনকে পবিত্র করে, শুদ্ধ করে৷ শুদ্ধচিত্তে যখন কেউ ধ্যানে বসে তখন সহজেই সাধকের মন পরমাত্মার কাছে পৌঁছে যায়৷ তিনদিনের এই সম্মেলনে সাংস্কৃতিক শাখা রেনেসাঁ আর্টিষ্ট এ্যাণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশনের শিল্পীরা প্রত্যহ সন্ধ্যার প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন৷ অনুষ্ঠানের বিষয় ছিল প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন, প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য, গীতিনাট্য ইত্যাদি৷ মার্গের দর্শন ভিত্তিক আধ্যাত্মিক চেতনা জাগরণের জন্যে সম্মেলমে আগামী ছয়মাসের নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে৷