আনন্দনগর ঃ গত ১৫, ১৬ ও ১৭ই ফেব্রুয়ারী আনন্দনগরে (পুরুলিয়া) আনন্দমার্গের সেমিনার অনুষ্ঠিত হল৷ আনন্দনগর ডায়োসিসের এই ফার্ষ্ট ডায়োসিস সেমিনারের প্রধান প্রশিক্ষকরূপে উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত৷ এই সেমিনারে তিনশতাধিক আনন্দমার্গী যোগদাান করেছিলেন৷
আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত বলেন, অন্যান্য ধর্মীয় সংস্থার মত আনন্দমার্গ জগৎসংসারকে মায়া বলে অস্বীকার করে না৷ বরং আনন্দমার্গ বলে, ব্রহ্ম পূর্ণ সত্য,কিন্তু জগৎ মিথ্যা নয়৷ আপেক্ষিক সত্য৷ মানুষের একদিকে যেমন আত্মমোক্ষের জন্যে দুবেলা সাধনা করা প্রয়োজন৷ তেমনি আদর্শ সমাজ রচনার মধ্যেও যত্মশীল হওয়া প্রয়োজন৷
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আনন্দনগরে আনন্দমার্গের বহুমুখী সেবাযোগ্যের প্রধান কেন্দ্র মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দনগরকে যেমন আদর্শ সাধনাকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলেছেন সেই সঙ্গে এখানে প্রাইমারী স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ গড়ে তুলেছেন৷ বিশ্ববিদ্যালয় খোলারও কর্মসূচী করেছেন৷ এখানে এ্যালাপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি,আকুপাংচার, আয়ুর্বেদিক প্রভৃতি সবরকমের চিকিৎসাকেন্দ্রও গড়ে তোলা হয়েছে ও হচ্ছে৷ তাছাড়া এখানে চা বাগান, আঙুর ক্ষেত, কাজু-বাগান, নানান ধরনের ক্ষুদ্র শিল্প প্রভৃতি গড়ে তুলে এলাকার অর্থনৈতিক বিকাশেরও ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে মার্গগুরুদেব তাঁর কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন৷ যুক্তফ্রন্ট ও বামফ্রন্ট আমলে সিপি.এম চা-বাগান, আঙুরের ক্ষেত প্রভৃতি ধবংস করে দিয়েছিল ও আনন্দমার্গের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর চরম আঘাত হেনেছিল৷ ১৯৬৭ ত্থসালের ৫ই মার্চ কম্যুনিষ্টরা আনন্দনগরের ওপর বিশাল গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে আক্রমণ করে আনন্দনগরকে ধবংস করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু আজ সেই সিপি.এম প্রায় নিশ্চিহ্ণ হয়ে গেছে কিন্তু আনন্দমার্গের বিজয়রথ এগিয়ে চলেছে৷
আনন্দনগর তিনদিনের আয়োজিত সেমিনারে আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত আনন্দমার্গের আদর্শের বিভিন্ন দিক সবিস্তারে ব্যাখ্যা করেন৷
এই সেমিনারে ব্যবস্থাপনার প্রধান দায়িত্বে ছিলেন আনন্দনগরের ডায়োসিস সেক্রেটারী আচার্য রাজেশ্বরানন্দ অবধূত ও আচার্য দেবপ্রেমানন্দ অবধূত৷