আনন্দনগরে বৃক্ষরোপণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ ১৯৮৩ সালের শুরুতেই মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দনগরে তাঁর বাসভবন ‘মধুকর্ণিকা’ দিয়ে প্রথমে বৃক্ষরোপণ প্রকল্প শুরু করেন৷ পরে আনন্দনগরে অবস্থিত প্রত্যেকটি প্রোজেক্ট দিতে শুরু করেন৷ ১৯৮৬ সালের সেপ্ঢেম্বর থেকে আনন্দনগরে কিছু কিছু বিভিন্ন প্রোজেক্ট দিতে শুরু করেন৷ ১৯৮৮ সালের জানুয়ারী থেকে বিস্তারিত ও ব্যাপকভাবে আনন্দনগরে ক্রমাগতভাবে ১৯৯০ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আনন্দনগরে নিজে বিভিন্ন পরিকল্পনা, প্রকল্পের মাষ্টার প্ল্যান দিয়েছেন৷ তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বৃক্ষরোপণ অর্থাৎ বিভিন্ন ধরণের পরিবেশ সংবর্দ্ধন কানন, অভয়ারণ্য (সেঞ্চুয়ারী), দেশী-বিদেশী, ফল-ফুলের বাগান, দেশী-বিদেশী গাছের সমাহার (জঙ্গল) ইত্যাদি৷ তাঁর নির্দেশ ছিল আনন্দনগর তথা রাঢ়ের রুক্ষ-বাঞ্জর ভূমিকে বৃক্ষরাজির মাধ্যমে সবুজে আচ্ছাদিত করে দিতে ও উপর থেকে দেখলে যেন শুধু সবুজ দেখায়৷ তাঁর ইচ্ছাকে সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে এগিয়ে এসেছেন আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠ গৃহী আচার্য কিষেনসিং সুদ দাদা ও তাঁর সহধর্মিনী আচার্যা প্রভাদেবী৷ বর্তমানে তাঁরা পাকাপাকিভাবে আনন্দনগরে বসবাস করছেন ও বাবার আনন্দনগরের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন৷

২০২৩ সালের লক্ষ্য ছিল পঁচিশ হাজার বৃক্ষের চারাগাছ রোপণ করার৷ এখন পর্যন্ত সফল হওয়া গেছে৷

 রামবুটান কম্পাউণ্ডে ২০০ চারাগাছ, শ্যামপুর মাতৃস্নেহ প্রোজেক্টে ৩০০ ফল ও অন্যান্য চারাগাছ, চক্রধুরী প্রোজেক্টে ২০০ চারাগাছ, প্রোজেক্টে ২০০ চারাগাছ, পগরো  গার্লস প্রাউটিষ্ট প্রোজেক্টে ২০০ ফুল-ফল অন্যান্য চারাগাছ, মহাপ্রভু ত্রিকোণ সেঞ্চুয়ারীতে প্রায় ৩০০ চারাগাছ, আনন্দমার্গ কলেজে প্রায় ৩০০ চারাগাছ, উমা নিবাস কলেজ কম্পাউন্ডে ১৫০ চারাগাছ, বেনুবাটিকায় ৫০০ বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশের চারাগাছ, অস্থি পাহাড় এলাকায় ৯০০০ হাজার চারাগাছ, গুড়ির মৌজার অঙ্গিরা, অঙ্গিরস, দুর্লভ দ্রুম সেঞ্চুয়ারী ও অন্যান্য জায়গায় ১২০০০ চারাগাছ লাগানো হয়েছে৷ শুধু বৃক্ষরোপণ করলেই হবে না একে সংরক্ষণ ও পরিচর্যা অত্যন্ত জরুরী৷ সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য৷ উঃ ২৪ পরগণার উজ্বল ঘোষ ১০০ গাছের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন৷ এভাবে অন্যদেরও এগিয়ে আসতে আহ্বান করা হচ্ছে৷

আনন্দনগর প্রাইমারী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে গুড়িডি ও নিকটবর্তী গ্রামের ২০০ পরিবারকে হিমসাগর আম ও এল৪৯ পেয়ারা গাছের চারা বিতরন করা হয়৷

আনন্দনগরে ফলের চারাগাছ বিতরণ ঃ গত ২রা আগষ্ট আনন্দনগরের বাঁশগড়ে কৃষিভবন থেকে করছে, কাশিড ও কমলাপুর গ্রামের প্রায় ২০০ জন পরিবারকে উচ্চফলনশীল আম ও পেয়ারা ফলের চারাগাছ বিতরণ করা হয়৷ আনন্দনগর পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যাপক বনসৃজনে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে৷ সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হচ্ছে৷ গত ১১ই আগষ্ট আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি মেনে বৃক্ষরোপন করা হয় আনন্দনগর কলেজে৷

ফলের চারা বিতরণ ঃ গত ১৬ই আগষ্ট আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রাদের মাধ্যমে গুড়িডি ও নিকটবর্তী গ্রামের ২০০ পরিবারকে হিমসাগর আম ও এল-৪৯ পেয়ারা গাছের চারা বিতরন করা হয়৷