আনন্দনগরে চন্দন গাছের চুরি

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ পশ্চিমরাঢ় অর্থনৈতিক, শিক্ষা, চাষাবাদ দিক থেকে অনেক পিছিয়ে, আবার বৃষ্টিপাতও কম৷ সেচ ব্যবস্থা অপ্রতুল৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রবক্তা ও ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নির্দেশে এই অঞ্চলের উন্নতির জন্যে পুরুলিয়া জেলার  জয়পুর ও ঝালদা-২ ব্লকের ছয়টি অঞ্চল নিয়ে গঠিত আনন্দনগরে ‘‘সংঘ’’ স্থানীয় মানুষের কল্যাণে বহুমুখী উন্নয়ন, শিক্ষা ও সেবা প্রকল্পের কাজ ১৯৬৩ সাল থেকে নিরলসভাবে করে আসছে৷ শুভকাজেও শাসকদল তথা রাষ্ট্রশক্তির বাধা তথা শত প্রতিকূলতা, রোষানলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও জীবন বিপন্ন করে কাজ করে চলেছে৷ দ্রুত ও স্থায়ীভাবে সাধারণ মানুষের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মহামূল্যবান শ্বেত চন্দন গাছের চাষ শুরু করে৷ এখানকার আবহাওয়ায় চন্দন চাষ খুবই উপযোগী ও অর্থকরী৷ বর্তমানে ‘‘চন্দন গাছ’’ বনে-জঙ্গলে নিজে নিজেই জন্ম হচ্ছে৷ আনন্দনগরে কয়েক হাজার চন্দন গাছ ও চারা রয়েছে৷ কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে একটি চন্দন গাছও পরিপূর্ণ হতে পারেনি৷ পরিপূর্ণ হওয়ার আগেই চন্দন দস্যুরা/ চোরাকারবারীরা নিয়ে যায়৷ কতবার পুলিশকে জানানো হয়েছে৷ এখন পর্যন্ত কাউকে চিহ্ণিত করা যায়নি৷

গত ৬ই অক্টোবর মৌজা ছোট মালকা , জে.এল নং ১৬ হাল দাগ নং ১৮৪, থানা, জয়পুর জেলা, পুরুলিয়া উক্ত দাগে প্রচুর সংখ্যক ছোট বড়, চারা চন্দন গাছ রয়েছে৷ তার থেকে চারটি চন্দন গাছ কেটে নিয়ে গেছে৷ যারা কেটে নিয়ে গেছে তারা একটি চাদর, করাতের প্যাকেটের কভার, খালি জলের বোতল ও গুটকার প্যাকেট ফেলে যায়৷ পুন্দাগ (বাগলতা) পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করা হয়৷ পুলিশ সরজমিনে দেখে এসেছে৷ কিন্তু অভিজ্ঞতা আগের মতোই৷ ছবিতে কাটা চন্দন গাছের সাথে ওইগুলি দেখা যাচ্ছে৷