আনন্দনগরে দধিচি দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৫ই মার্চ সারাবিশ্বে  আনন্দমার্গের প্রতিটি ইয়ূনিটে দধিচী দিবস পালিত হয়৷ ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চ আনন্দমার্গকে ধবংস করতে তৎকালীন শাসকদল কম্যুনিষ্টপার্টির মদতপুষ্ট গুণ্ডা বাহিনী আনন্দনগর আক্রমন করে ও নির্মমভাবে পাঁচজন সন্ন্যাসীকে হত্যা করে৷ দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সেই মর্মান্তিক ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে স্থানীয় জয়পুর ব্লকের বিডিও অশোক চক্রবর্তী সহ ১৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড হয়৷ বেশ কয়েক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হয়৷ আনন্দনগর প্রতিষ্ঠায় আত্মনিবেদন করে প্রথম যে পাঁচজন আত্মবলিদান করেন তাঁরা হলেন---আচার্য অভেদানন্দ অবধূত, আচার্য সচ্চিদানন্দ অবধূত৷ আচার্য অবোধ কুমার ব্রহ্মচারী, আচার্য প্রবোধ কুমার ব্রহ্মচারী, আচার্য ভরত কুমার ব্রহ্মচারী৷

সমাজ থেকে আসুরিক শক্তি নিধনের জন্যে জীবন ত্যাগ করেছিলেন দধিচী মুনি৷ তাঁর মৃতদেহের অস্থি নির্মিত বজ্র সেই আসুরিক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আনন্দনগরে ওই দিন পাঁচজন সন্ন্যাসী আত্মবলি দেন৷

পরবর্তীকালে আরও অনেক সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনী আসুরিক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে জীবন দান করেন৷ তাঁদের সকলের স্মৃতিতে ৫ই মার্চ সারা বিশ্বে দধিচী দিবস পালিত হয় সূর্র্যেদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত৷

আনন্দনগরে ওইদিন ভাবগম্ভীর পরিবেশে দধিচী দিবস পালন করা হয়৷ প্রথমে পাওয়ার হাউসে বেলা ১১টা থেকে দু’টো পর্যন্ত অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর কীর্ত্তন করে দধিচী পাহাড়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে দধিচী বেদিতে মাল্যদানের পর কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর আচার্য মোহনানন্দ অবধূত সকলকে শপথ বাক্যপাঠ করান---‘‘যে পাপশক্তির ফলে এই পাঁচ ভাইয়ের  হত্যা হয়েছে যতক্ষণ পর্যন্ত সেই পাপ শক্তির  বিনাশ না করছি, ততক্ষণ আমরা আরাম করবো না, আরাম করবো না, আরাম করবো না৷’’ শপথ গ্রহণ শেষে ওই দিনের স্মৃতিচারণ ও দধিচী দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন কয়েকজন সাধক৷ এরপর সকলে লোয়ার হোষ্টেলে গিয়ে নেবুজল খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করেন৷