গত ১২ই ফেব্রুয়ারী আনন্দনগরে মনারম আধ্যাত্মিক পরিবেশে নীলকন্ঠ দিবস পালিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে তিনঘন্টা অখণ্ড‘বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ আনন্দনগর সংলগ্ণ গ্রামগুলি থেকে বহু মার্গী ভাইবোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন৷ কীর্ত্তন শেষে নীলকন্ঠ দিবসের বিশেষ তাৎপর্য ব্যাখা করে বলেন---আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত ও আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত৷
১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী বিহারের বাঁকিপুর সেন্ট্রাল জেলে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী হত্যার উদ্দেশ্য তীব্র বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার ও সিবিআই-এর ষড়যন্ত্রে৷ কিন্তু সব চক্রান্ত ব্যর্থ করে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী সেই বিষ হজম করে নেন, যদিও কিছু শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল৷ পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই-এর আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়,জেল থেকে বেরিয়ে আসেন৷ আজ সারা পৃথিবীতে আনন্দমার্গ ছড়িয়ে পড়েছে আর সেদিনের সেই পাপ শক্তি বিনাশের পথে৷
পুরাণবর্ণিত গল্পে সমুদ্রমন্থনে উত্থিত বিষ কন্ঠে ধারন করে মহাসম্ভূতি সদাশিব মানব সমাজকে রক্ষা করেছিলেন৷ কিন্তু বিষের প্রভাবে তাঁর কন্ঠ নীল হয়ে গিয়েছিল৷ সেই থেকে শিবের এক নাম হয় নীলকন্ঠ৷ পাপশক্তির কবল থেকে মানবসমাজকে রক্ষা করতে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পাপশক্তির বিষ হজম করে নেন৷ সেই কারণে প্রতিবছর বিশ্বের আনন্দমার্গীরা ১২ই ফেব্রুয়ারী দিনটিকে নীলকন্ঠ দিবস হিসাবে পালন করেন৷ অনুষ্ঠান শেষে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী বিদেশ কুমার ও সরস্বতী কুমারের শিশুপুত্রের নামকরণ করা হয় আনন্দমার্গের চর্যাচর্যবিধি মতে৷