আনন্দনগরে সায়র খননকার্য

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৮শে জুলাই,২৩ দুর্লভ দ্রুম সেঞ্চুয়ারীতে বৃষ্টির জল সংরক্ষিত করা ও ওই জলকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার জন্যে খননকার্য চলছে৷ উল্লেখনীয় আনন্দনগরে গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বিলুপ্ত হয়ে গেছে ও হয়ে যাচ্ছে এই ধরনের পোষ্য বন্য, পশু-পাখি, জলজ জীব-জন্তু, স্থলজ জীব-জন্তু, বৃক্ষ-লতা-গুল্মকে বাঁচিয়ে রাখা  ও তাদের বংশবৃদ্ধি, গবেষণার মাধ্যমে তাদের ব্যবহারগত  উপযোগিতার বৃদ্ধির জন্য ৮৫টি সংরক্ষিত স্থান ও বিভিন্ন প্রজাতির ফলের জন্য নির্দিষ্ট শতাধিক কাননের সংরক্ষিত স্থান নির্ধারণ করেছেন ও গবেষণার কথা বলেছেন৷ প্রত্যেকটি সংরক্ষিত স্থানের নামকরণ করেছেন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, মহাপুরুষ, মুনি-ঋষি, প্রসিদ্ধ ব্যষ্টিদের নামে৷

প্রতিটি সংরক্ষিত স্থান কেন ও কোথায় অবস্থিত থাকবে, তার উপযোগিতা, গবেষণার বিষয়, সায়রে কি কি থাকবে,  বাউণ্ডারীতে মুখ্য গাছ কি থাকবে, দুটি মুখ্য গাছের মাঝখানে কি গাছ থাকবে, মুখ্য গাছ ও মাঝখানের গাছের মধ্যেকার জায়গায় কি লাগানো হবে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন৷

১৯৮৬ সালের শেষ দিক থেকে শুরু করে ১৯৯০ সালের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আনন্দনগরকে নিয়ে যত প্ল্যান-প্রোগ্রাম ও নির্দেশনা দিয়েছেন, তাঁর সবকিছু নির্দেশনা ১৪টি বড় মোটা-লম্বা খাতায় লিখিত রয়েছে৷ পরবর্তীতে কম্পিউটারে নথিভুক্ত করা হয়েছে৷

উদাহরণ স্বরূপ দুর্লভ দ্রুম সেঞ্চুয়ারীকে নিয়ে কি প্ল্যান-প্রোগ্রাম দিয়েছেন তা এখানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে৷

দুর্লভ দুম সেঞ্চুয়ারী, ‘দুর্লভ দ্রুমের জন্যে নির্দিষ্ট সংরক্ষিত স্থানে থাকবে যেসব ম্যাঙ্গো, ব্ল্যাকবেরি, টামারিণ্ড, ব্যানানা অবলুপ্তির পর্যায়ে রয়েছে৷ সেই সব গাছকে এনে সংরক্ষিত করা৷ আর এইসাব গাছকে বাঁচিয়ে রাখতে ও ব্যবহারিক কাজের জন্যে গবেষণা করা৷

সায়র

পাঁচটি সায়র দিয়েছেন প্রতিটি সায়রে যেসব জলজ প্রাণী অবলুপ্তির পর্যায়ে রয়েছে, যেমন---১)রঙিন মাছ, সায়রের নাম শিলা সৈকত (২) রঙিনহীন মাছ, সায়রের নাম পসকা (৩) জলজ জন্তু, সায়রের নাম দুর্লভ দ্রুম ৪) জলজ কচ্ছপ সায়রের নাম পুষ্পপুরোদ্যান (৫) জলজ হীন কচ্ছপ, সায়রের নাম স্তম্ভ স্তবন৷

বাউণ্ডারী প্ল্যাণ্টস ---মুখ্য গাছ

১) মালদহের বড় ফজলি আম, দীঘা ল্যাংড়া, সবেদা, কপাল ভাংড়া, মালগোয়া৷ ২) মুর্শিদাবাদ কোহিতুর, রেড ষ্টার আপেল, শাহি লিচি, সুগন্ধ সুপারি৷ ৩) লাটানো মুম্বাই আম, গজনি ভ্যারাইটি শাল, গর্জন, বকফুল, মিষ্টি কামরাঙা৷ ৪) মুঘল শাহ আম,মিষ্টি তেতুল, লোধরা, চামল ৫) বারানসী শাদা ল্যাংড়া আম, সেগুন, কৃষ্ণবট, কৃষ্ণ মাখন কিকাতরু, গোড়া কৃষ্ণ তমাল৷

দুটি মুখ্য গাছের মধ্যে--- বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বড় ডুমা তাল, গোয়ালন্দের পদ্মা নদীর তীরের খেজুর৷ মুখ্য গাছ ও মাঝের গাছের মধ্যে বাঁকুড়া জেলার লম্বা গাছ কাপাস, দুটি গাছ কাপাসের মাঝে থাকবে অ-ভারতীয় লিলি৷ তাছাড়া ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের বিভিন্ন দেশের অবলুপ্তির পথে যাওয়া তরু৷ যেখানে মাটি ভাল আছে সেখানে পান ও আদা পর্যায়ক্রমে লাগাতে হবে৷ দুর্লভ দ্রুম সেঞ্চুয়ারীকে পক্ষী নির্ভয় কানন হিসেবে গণ্য করা হবে৷