আনন্দনগরে সবুজায়ন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সারা বিশ্ব আজ উষ্ণায়নের আতঙ্কে কাঁপছে৷ পৃথিবীর জলবায়ু দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে৷ কোথাও খরা, বৃষ্টিহীনতা, জলের জন্য হাহাকার আবার কোথাও অতিবৃষ্টি, কোথাও অনিয়মিত বৃষ্টি৷

এইসব পরিস্থিতি বিবেচনা করেই প্রায় চল্লিশ বছর আগে গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দনগরের জন্য কিছু বিশেষ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন৷ তিনি গভীর বন সৃজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, ভূমির উপরিভাগের জলের যথাযথ ব্যবহার ও ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন৷ বৃহৎ জলাশয় তৈরির পরিবর্তে ছোট ছোট জলবন্ধ নির্মাণের নির্দেশ দেন৷ অধিক পরিমাণে জলাশয় ও সায়র নির্মাণেরও পরিকল্পনা প্রদান করেন৷ তাঁর দেওয়া নির্দেশনার আলোকে আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা সেই কাজ করে চলেছি৷ তিনি বলেছিলেন, আকাশ থেকে আনন্দনগরকে দেখলে যেন সবুজে আচ্ছন্ন দেখায়৷

২০২১ সাল থেকে প্রতি বছর আনন্দনগরের সবুজায়নের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় আর তা বাস্তবায়িত হয়৷ ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ‘‘দুর্লভদ্রুম’’ সেঞ্চুয়ারির পশ্চিম ও পূর্ব দিকে বৃক্ষরোপণ করা হয়৷ আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পশ্চিম অংশে সুরক্ষা বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি, তবে পূর্বদিকে জন্তু-জানোয়ারের হাত থেকে সুরক্ষার জন্য বেড়া ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷

২০২৪ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বর্তমান দৃশ্য দেখে মন আনন্দে ও উৎফুল্লতায় ভরে ওঠে৷ সংলগ্ণ ছবিতে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের দৃশ্যের পার্থক্য লক্ষ্য করুন৷