আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ না নিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হতে পারেন ভারতের অমল মজুমদার

সংবাদদাতা
ক্রীড়া প্রতিনিধি
সময়

তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্ধর্ষ ব্যাটসম্যান৷ যাঁর মুম্বাইয়ের হয়ে রঞ্জিতে বড় রান করার অভিজ্ঞতা৷ প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৭১টি ম্যাচে ১১,১৬৭ রান করার দক্ষতা দেখিয়েছেন অমল মজুমদার৷ এই রেকর্ডগুলো দেখেই হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর  কোরি ফান জাইলের ফোন আসে অমলের কাছে তাদের সিনিয়র ক্রিকেট দলে ব্যাটিং কোচের অফার নিয়ে৷ যদি দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হয়ে বুমরা সমৃদ্ধ ভারতীয় পেস বিগ্রেড ও বিষাক্ত ভারতীয় স্পিন অ্যাটাককে সামাল দেওয়া যায় তবে বিশ্ব ক্রিকেটে কোচ হিসেবে একটি ভাল জায়গায় পৌঁছে যাবেন অমল৷ সেই আশা নিয়েই অমল মজুমদার দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমাতে পারেন সেই দেশের ব্যাটসম্যান হয়ে৷

যদিও খেলোয়াড় জীবনে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি অমল মজুমদার৷  ইংল্যাণ্ডের ট্রেভর বেলিস, অষ্ট্রেলিয়ার জন বুকানন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় ছিলেন না৷ অথচ কোচ হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বে অনেক খ্যাতনামা ক্রিকেটার তৈরী করেছেন৷ সেই সব ক্রিকেটাররা নিজেদের দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার হয়েছেন৷ এমনকি অষ্ট্রেলিয়া ও ইংল্যাণ্ড বিশ্বকাপ জয় করেছে এই কোচেদের দক্ষতায়৷ তাই একজন কোচ হতে গেলে যে তাঁকে ভাল খেলোয়াড় হতেই হবে বা আন্তর্জাতিক আসরে নামার অভিজ্ঞতা থাকতেই হবে এমন কোনও কথা নেই৷ আসলে সঠিক মানসিকতা, শেখানোর দক্ষতা, প্রতিভাবানদের খুঁজে নেওয়ার দূরদৃষ্টি, খেলোয়াড়দের ভুল ধরিয়ে দিয়ে তাদের থেকে সেরাটা বের করে নেওয়ার কাজটা যিনি করতে পারেন তিনিই কোচ হিসেবে সাফল্য পান---তাঁদের হাতেই তৈরী হয় চৌকস খেলোয়াড়৷ অমল মজুমদার সেই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচের ভূমিকায় সফল হতে চাইছেন৷