আন্তর্জাতিক নববর্ষ ২০১৯ উপলক্ষ্যে আগামী ২৯, ৩০, ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৮ ও ১লা জানুয়ারী ২০১৯ আনন্দনগরে আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ শেষ দিনের অনুষ্ঠান হবে আনন্দনগরের ‘বাবা স্মারক ভবনে’৷
এই ধর্মমহাসম্মেলনে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আনন্দমার্গীরা যোগদান করছেন৷ বিশ্বের যে ১৮২টি দেশে আনন্দমার্গের প্রচার রয়েছে–ওই সমস্ত দেশ থেকে আনন্দমার্গের অনুগামীরা ধর্মমহাসম্মেলনে যোগ দিতে আসছেন৷ এই ধর্মমহাসম্মেলনে মার্গগুরুর প্রতিনিধিরূপে আনন্দমার্গের প্রেসিডেন্ট আচার্য কিংশুকরঞ্জন সরকার এই তিনদিন দুবেলাই ধর্ম, সাধনা, সেবা, ভক্তি প্রভৃতির ওপর প্রবচন ভ্রভঢতপ্ত৷ আনন্দমার্গের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সন্ন্যাসীস্ট*, স্থানীয় সর্বসময়ে কর্মীতযম্ভ (এলএফটি) ও স্থানীয় মার্গীরা বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচীর রূপায়নের জন্যে মিটিং করবেন ও আগামী ৬ মাসের কর্মসূচীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন৷ মার্গের বিভিন্ন স্তরের ষান্মাসিক সেমিনারেরও প্রোগ্রাম নেওয়া ম্ভঢত৷
ধর্মমহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে ২৮শে ডিসেম্বর থেকেই এখানে হরিপরিমণ্ডল গোষ্ঠীর উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী অখণ্ড বাবা নাম কেবলম্ কীর্ত্তন ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে৷
নির্ধারিত কর্মসূচী অনুসারে ধর্মমহাসম্মেলন মঞ্চে ২৯, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর প্রতিদিনই দুপুর ১১টা ৩০ মিনিট থেকে ১টা ও সন্ধ্যা ৮টা থেকে ৯টা শ্রদ্ধেয় পুরোধা প্রমুখ দাদা আধ্যাত্মিক প্রবচন দেবেন৷ সন্ধ্যায় আনন্দমার্গের সাংস্কৃতিক প্রকোষ্ঠ ‘রাওয়া’র পরিচালনায় প্রভাতসঙ্গীত অবলম্বনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে৷ এর মধ্যে স্থানীয় সংস্কৃতির বাহক ‘ছৌ-নৃত্য’ প্রদর্শন করা হবে৷
বাবা ভি.ডি.ও-ও প্রতিদিন সন্ধ্যায় ৯টা থেকে ১০-৩০ মিঃ পর্যন্ত দেখানো হবে৷ ১লা জানুয়ারী সকাল থেকে আন্তর্জাতিক নববর্ষের বাণী পাঠ, বাণীর ওপর আলোচনা, বাবা সম্পর্কিত আলোচনা ---এইসব চলবে আনন্দনগরের বাবা স্মারক ভবনে৷
‘‘বৎসর, নব বৎসর,
তুমি কল্যাণ এনো চারিদিকে,
নূতন ভোরের হাতছানিতে
নূতন ঊষার নবালোকে৷৷
বৃক্ষ-লতারা সবুজে ভরুক,
বন্যপশুরা নিরাপদ হোক,
পাখীরা কণ্ঠে অমিয় ভরিয়া
উড়িয়া বেড়াক দিকে দিকে৷৷
মানুষে মানুষে ভেদ দূর হোক,
বুদ্ধির অপচয় রোধ হোক,
শক্তির সর্বনাশা প্রতাপ
সংযত হোক সব দিকে৷৷
(প্রভাতসঙ্গীত -১২৮ নং )