অলিম্পিক্স অভিযান শেষে বিনেশ ফোগাট বাড়ি ফেরার দিন মাঝরাত পর্যন্ত জেগেছিল সে৷ টাকার নোট দিয়ে মালা বানিয়ে পরিয়ে দিয়েছিল বিনেশের গলায়৷ অলিম্পিক্সে বিনেশের পদক হাতছাড়া হলেও, মান রাখল নেহা সাঙ্গওয়ান৷ হরিয়ানার যে বালালি গ্রামে থাকেন বিনেশ, সেই গ্রামের মেয়ে নেহা অনূর্ধ-১৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতল৷ প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত চারটি সোনা জিতেছে ভারত৷
বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫৭ কেজি বিভাগে সোনা জেতে নেহা৷ জাপানের সো সুতসুইকে হারায় ১০-০ পয়েন্টে৷ এক ওয়েবসাইটে বলেছে, ‘‘আমার কাছে এই সোনা বিরাট ব্যাপার৷ বিনেশ দিদি এবং সকল মহিলা কুস্তিগিরকে এই পদক উৎসর্গ করছি৷ বিনেশ দিদি আমাদের সবার কাছে অনুপ্রেরণা৷ এই পদক বালালি গ্রাম এবং ভারতের আরও অনেক মহিলা কুস্তিগিরকে অনুপ্রেরণা জোগাবে৷’’
নিজের গ্রামে ফিরে বিনেশ বলেছিলেন, একদিন তাঁর গ্রামের মেয়েরাও বিশ্ব মঞ্চে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করবে৷ সেটাই হয়েছে৷ নেহার বাবা অমিত কুমার সাঙ্গওয়ান বলেছেন, ‘‘বিনেশ ফেরার দিন দুপুরবেলা বসে বসে ধৈর্য নিয়ে মালা বানিয়েছিল নেহা৷ মঞ্চে যাওয়ার পর বিনেশ বলেছিলেন, ওর মতো কুস্তিগিরদের স্বপ্ণ পূরণের জন্য ছোটা উচিত৷ বিশ্ব কুস্তিতে নেহার পদক দেখে নিশ্চয়ই বিনেশ গর্বিত৷’’
শুধু নেহাই নয়, বিশ্ব কুস্তিতে আরও তিনটি সোনা জিতেছে ভারত৷ অদিতি কুমারি, পুলকিত এবং মানসী সোনা জিতেছে৷ ৪৩ কেজি বিভাগে অদিতি ফাইনালে গ্রিসের লুইজা কিকাকে হারায় ৭-০ পয়েন্টে৷ ৬৫ কেজি ফাইনালে পুলকিত ৬-৩ জেতে দারিয়া ফ্রোলোভার বিরুদ্ধে৷ ৭৩ কেজি ফাইনালে মানসী হারায় হানা পিরস্কায়াকে৷
আগামী শারদ সংখ্যা, ২০২৪ -এ নোতুন পৃথিবী বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হচ্ছে৷ যাঁরা লেখা পাঠাতে ইচ্ছুক তাঁরা নোতুন পৃথিবী পত্রিকা কার্যালয়ে অথবা সম্পাদকের ৯১৬৩৬৬৬৯৫৯ এই হোয়ার্টসএ্যাপ নম্বরে ২০০০ শব্দের মধ্যে টাইপ অথবা স্ক্যান করা কপি পাঠাতে পারেন৷2