আপাততঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন ঝুলে রইল আদালতে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৮ই এপ্রিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে  মনোনয়ন পত্র  দাখিলে বাধা, মারপিট, সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে  এখন গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াটি আদালতে ঘুরপাক খাাচ্ছে৷ অন্ততঃ  এই প্রতিবেদন  লেখা  পর্যন্ত পরিস্থিতি তা-ই ৷ বিরোধীদের মনোনয়নপত্র  দাখিল করতে দেওয়া হচ্ছে না---এই অভিযোগে  বিজেপি সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের করে৷ সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশ দেয় কোন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে বাধা পেলে তাঁকে আইনানুগভাবে মনোনয়ন পত্র পেশ করার সুযোগ করে দেওয়া রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব৷ সুপ্রিমকোর্ট এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না৷ নির্বাচন কমিশনকেই তা যথোচিত ব্যবস্থা নিতে হবে৷  এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৯ই এপ্রিল  সন্ধ্যায় নির্দেশিকা জারি করে’ ১০ই এপ্রিল বিকেল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র পেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন৷  সবাইকে মনোনয়নপত্র পেশের সুযোগ দানেরজন্যইতাঁরা একদিন মনোনয়নপত্র পেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করলেন বলে বলা হল৷ কিন্তু পরেদিনই অর্থাৎ ১০ই এপ্রিল সকালে নির্বাচন কমিশন আবার তাদেরই দেওয়া শেষ নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয়৷

স্বাভাবিকভাবে এর বিরুদ্ধে সমগ্র বিরোধীরা রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন৷ বিরোধীরাকলকাতা হাইকোর্টের কমিশনের শেষ নির্দেশ প্রত্যাহারের প্রতিবাদে মামলা দায়ের করেন৷

কলকাতা হাইকোর্ট ১২ই এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া পর্যন্ত৷ মামলাটিকে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যসরকারকলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই হাইকোর্টের একক বেঞ্চের মামলাটিকে খারিজ করার চেষ্টা চালায়৷ কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি সুব্রত তালুরদার যে নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন তা-ই বহাল রাখেন ও একক বেঞ্চেই এই রায় চলবে বলে রায় দেন৷

হাইকোর্টের একক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি এখনো চলছে৷ দুইপক্ষই তাঁদের বক্তব্য পেশ করছেন৷ এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঠিক করে হবে তা ঠিক করে বলা যাচ্ছে না৷ হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কিসের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন পেশের মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশিকা জারি করেছিল, আবার পরদিন কিসের ভিত্তিতে সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হয়৷ এর সপক্ষে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ তথ্য পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷

ফলে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন এখন, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, আদালতে ঝুলে রইল৷