শিলচর, ৭ই ডিসেম্বর ঃ আর্র্শদ মদনি থেকে শুরু করে হিন্দু সংহতির কর্মকর্র্ত তপন ঘোষ ও দেবতনু ভট্টাচার্যদের সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাল আমরা বাঙালি৷ সংঘটনের রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, ‘অসমে বসবাসকারী বাঙালিরা এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে নিমজ্জিত৷ এমন সংকটের সময় ধর্মীয় ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ণ’৷ তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতিসত্তা সুদৃঢ় করার প্রচেষ্টা বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শুরু হয়েছে৷ অন্যদিকে, নাগরিক পঞ্জি উন্নীতকরণ প্রক্রিয়ায় বিরাট সংখ্যক বাঙালির নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ ১৯৭১ সালের ২৪শে মার্চকে ভিত্তি ধরে নাগরিকত্ব আইনে নাম না থাকাটা স্বাভাবিক, যদি ৭ সেপ্ঢেম্বর ২০১৫ সালের কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তি আইনিভাবে কার্যকরী করা না হয়’৷ সাধনবাবু উল্লেখ করেন, এই অবস্থায় দেশভাগের জন্য এইসব লোকদায়ী নন৷ অথচ জমিয়ত উলামা হিন্দের নেতা আর্র্শদ মদনি সম্প্রতি ব্যাঙ্গালোরে এক জনসভায় বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৪শে মার্চের পর আসা বিদেশিদের গুলি করে মারলেও আপত্তি নেই৷ হাইলাকান্দির বিধায়ক আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বরাকের ৬০ শতাংশ লোক বাংলাদেশি৷ অন্যদিকে, হিন্দু সংহতি নামের সংগঠনের নেতা বলছেন অস্ত্র হাতে নিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে৷ এইসব ব্যষ্টির উস্কানিমূলক বক্তব্য জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে৷ সাধন বাবু বলেন, ‘আমরা সামগ্রিকভাবে এর নিন্দা জানাচ্ছি৷’ তিনি এও বলেন, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গোটা বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন৷ কারণ, ভারত নানা ভাষা ও ধর্মের দেশ৷ এই দেশের সবাইকে নিয়ে চলার ঐতিহ্য সুপ্রাচীন৷ তাই বিদ্বেষ নয়, শান্তি-সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে আমাদের চলতে হবে৷ আমরা বাঙালি সবার কাছে এই আহ্বান রাখছে৷
সংবাদদাতা
নিজস্ব প্রতিনিধি
সময়