প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন--- গত ১৫ মাসে জিডিপির আর্থিক বৃদ্ধি সর্বনিম্ন৷ এর অন্যতম কারণ মানুষের হাতে ক্রয়ক্ষমতা নেই৷ তাছাড়া বছরে দু-কোটি চাকরীর প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থ সরকার৷ দেশের সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতি খুবই হতাশজনক৷ সরকার চিৎকার করছে ভারত অর্থনীতিতে এগিয়ে চলেছে৷ কিন্তু কখনই জনসংখ্যার নিরিখে কোন আর্থিক প্রতিবেদন সরকার প্রকাশ করেনি৷
শ্রীখাঁ বলেন--- ১৪০ কোটি মানুষের দেশের আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের সার্বিক মূল্যায়ন করাই হয় না৷ তাই অভ্যন্তরীন উৎপাদনের যে গড় হিসাব ধরা হয় তা দেশের সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতির বাস্তব চিত্র হয়৷ সাধারণ মানুষের ব্যায়ের হিসাব এখানে থাকে না৷ শ্রীখাঁ বলেন--- দেশের প্রকৃত আর্থিক বিকাশ তখনই সম্ভব যখন প্রতিটি মানুষের হাতে জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্ত্তির ক্রয় ক্ষমতা থাকবে৷ যা বর্তমান ধনতান্ত্রিক আর্থিক কাঠাময় কখনই সম্ভব নয়৷ এর জন্যে আর্থিক নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে৷ কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলিই চলে পুঁজিপতিদের অর্থে৷ তাই আর্থিক কাঠাময় পরিবর্তন আনতে হলে রাজনৈতিক চিন্তাধারাতেও মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে৷ গড়ে তুলতে হবে সমাজ আন্দোলন৷ যার মাধ্যমে প্রাউটের আর্থিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে৷ প্রাউটের দৃষ্টিতে অর্থনীতি হবে---বাস্তবমুখী, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগ ভৌমিক বিজ্ঞান৷ বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষের সর্বজীবের, সর্বস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত করতে হবে৷ তাই প্রাউটিষ্ট সমাজ সংঘটনগুলির উচিত অবিলম্বে প্রাউটের বাস্তবায়নের জন্য সমাজ আন্দোলন শুরু করা৷ ধনতান্ত্রিক আর্থিক কাঠামোয় কখনোই স্থানীয় মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয়৷