প্রধানমন্ত্রী অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে স্বনির্ভরতার কথা ঘোষনা করেছিলেন৷ কিন্তু আজও দেশের অধিকাংশ মহিলা বিশেষ করে বয়স্কা মহিলারা আর্থিক সঙ্গতির অভাবে পরিবারে নানা অত্যাচারের শিকার হন৷ নারী শক্তির যতই জয় গান গাওয়া হোক এখনও দেশের অধিকাংশ মহিলা অর্থের অভাবে অন্ধকারে নিমজ্জিত৷
সম্প্রতি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সমীক্ষা চালায় নারীর আর্থিক সঙ্গতির উপর৷ সমীক্ষার প্রতিবেদনে জানা যায়---দেশের ৫৩ শতাংশ বয়স্কা মহিলারা আর্থিক দিক দিয়ে নিজেদের সুরক্ষিত ভাবতে পারেন না৷ ৩৫ শতাংশ মহিলা মনে করেন সন্তানের রোজগারেই তাদের আর্থিক প্রয়োজন মিটে যায়, তাই আর্থিক নিরাপত্তার অভাব তাদের নেই৷ সমীক্ষায় ৬৬ শতাংশ মহিলা জানায় তাদের নিজস্ব কোন সম্পদ নেই৷ ৭৫ শতাংশের হাতে সঞ্চয় বলতে কিছুই নেই৷
দেশে শিক্ষিতের হার যতই বাড়ুক,আর্থিক অসঙ্গতির কারণে আজও মহিলারা পরিবারে নির্যাতিত হন৷ সমীক্ষায় প্রকাশ প্রায় ৫০ শতাংশ মহিলা শারীরিক অত্যাচারের শিকার হয়৷ ৪৬ শতাংশ অ-কথা কু-কথা শুনে অশ্রদ্ধার ভার মাথায় নিয়ে দিন কাটান, ৪০ শতাংশ মানসিক নির্যাতনের শিকার৷ ৪০ শতাংশ অত্যাচারিত হন পুত্র-সন্তানদের হাতে৷ ২৭ শতাংশ পুত্রবধূদের হাতে৷ ৩৩ শতাংশ আত্মীয় পরিজনদের হাতে৷ সমীক্ষায় প্রমাণ নারীশক্তি যতই এগিয়ে চলুক দেশের বৃহৎ সংখ্যক নারী আজও অন্ধকারেই পড়ে আছে৷